আরামবাগ- গড়বেতা রোড়ে জল ঠেলে এগোচ্ছে চারচাকা। রবিবার গোঘাটের কামারপুকুরে সাতবেড়িয়া এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টি তো আছেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাঁকুড়া থেকে আসা জল। ফের আরামবাগে চোঙ রাঙাচ্ছে দ্বারকেশ্বর নদ। তাই জারি হয়েছে সতর্কতা।
এমনিতেই টানা বৃষ্টিতে এবং বিভিন্ন নিকাশি খাল উপচে আরামবাগ মহকুমার ৬টি ব্লকের মাঠঘাট জলমগ্ন হয়েছে। নদ-নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। তবে, রবিবার সকাল থেকে বাঁকুড়া ক্যাচমেন্ট বেসিন থেকে দ্বারকেশ্বর নদে ৪০ হাজার কিউসেক জল আসতে থাকায় আরামবাগ পুর এলাকা এবং আরামবাগ ব্লক ও গোঘাট-খানাকুলে পঞ্চায়েতগুলিকে প্রশাসনেতর তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা আমোদর নদ এবং তারাজুলি খাল উপচে গোঘাট ২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া, সাতবেড়িয়া, পশ্চিম অমরপুরে সমতল থেকে প্রায় ৩ ফুট উচ্চতায় জল বইছে। রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় কামারপুকুর থেকে বদনগঞ্জ বাস চলাচল বন্ধ। কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটীর রাস্তায় জমা জলে কিছু দূরপাল্লার বাস চললেও স্থানীয় রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল এ দিন। গোঘাটের পশ্চিমপাড়ায় জলের স্রোতে বিভিন্ন আনাজের গাছ এবং ফসল ভেসে গিয়েছে।
মহকুমাশাসক (আরামবাগ) সুভাষিণী ই বলেন, “ডিভিসি-র ছাড়া জলে বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে, বাঁকুড়ায় অত্যধিক বৃষ্টি হওয়ায় দ্বারকেশ্বর সংলগ্ন পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিতে মাইকে সতর্কতা প্রচার করা হচ্ছে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে আসতে বলা হচ্ছে।”
দ্বারকেশ্বর নদের দু’দিকের বাঁধ পরিদর্শন করেন মহকুমা সেচ দফতরের অধিকারিকেরা। সন্দেহজনক স্লুস গেটগুলির কাছে বালির বস্তাও মজুত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা সেচ দফতরের আধিকারিক দীনবন্ধু ঘোষ।
বৃষ্টিতে গোঘাট এবং আরামবাগে তিনটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। যদিও সেগুলিতে কেউ বসবাস না করায় কারও ক্ষতি হয়নি বলে মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে।