আবার আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র।
আবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল। এ বার ফরাক্কার কাছে ওই পাথর ছোড়ার ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীদের একাংশ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘পাথর ছুড়ে কাচ ভাঙার অভিযোগ উঠছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত হবে।’’
চালু হওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েক বার আক্রান্ত হয়েছে বাংলার এনজেপি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের জেরে রেল তেড়েফুঁড়ে উঠে কিছু সতর্কতামূলক কড়া পদক্ষেপ করায় সেই ঘটনায় রাশ টানা গিয়েছিল। মাস দুয়েকের মধ্যে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রশ্নের মুখে যাত্রীসুরক্ষা।
রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হাওড়ায় পৌঁছয় বন্দে ভারত। তখনই দেখা যায়, ট্রেনের সি১৩ কামরার জানলার কাচে চিড় ধরেছে। ওই কামরার যাত্রীদের দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ফরাক্কা পেরোচ্ছিল ট্রেনটি। সেই সময়েই পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। রাকেশ দে নামে এক যাত্রীর কথায়, ‘‘কাজের সূত্রে মাঝেমাঝেই বন্দে ভারতে যাতায়াত করতে হয়। এই ধরনের ঘটনা সত্যিই অনভিপ্রেত। আজ জানলার সামনে একটি শিশু বসেছিল। এ রকম যদি চলতেই থাকে, যে কোনও দিন বড় কিছু ঘটে যেতে পারে!’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে রাজ্যের একমাত্র বন্দে ভারত উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই লাগাতার ওই ট্রেনে পাথর ছোড়ার অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। রেল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই সব ঘটনার কথা সরকারি ভাবে স্বীকার না করলেও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। এর পরেই যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি নজরে রেখে বন্দে ভারতে নিরাপত্তা বাড়ায় রেল। সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ধরপাকড়ও শুরু হয়েছিল। যার জেরে পাথর ছোড়া আটকানো গিয়েছিল। এক যাত্রীর বক্তব্য, ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনাকে নেহাতই ছোট বলে মনে করা উচিত হবে না। এই ঘটনা আসলে আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ। যারা এই ঘটনার পিছনে আছে, তাদের মানসিক সঙ্কীর্ণতা রাজ্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে। মানসিকতার অধঃপতন না হলে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করা কখনও সম্ভব নয়। নিরাপত্তায় একটু ঢিলে দিলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। রেলের উচিত, আরও কড়া পদক্ষেপ করা।’’