ঘেরাও চলছে। নিজস্ব চিত্র
নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নেই কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের। বুধবার রাতে জয়া মাল (৪৭) নামে সেখানে ভর্তি এক রোগিণীকে স্থানান্তরিত করানোর কথা বলা হলেও কোথাও আ্যম্বুল্যান্স না-মেলায় তাঁকে চটজলদি নিয়ে যেতে পারেননি বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। তারপরেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না-পাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে চিকিৎসকদের ঘেরাও করেন মৃতার আত্মীয়েরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মৃতার বাড়ি কামারপুকুরের মালপাড়ায়। প্রবল শ্বাসকষ্ট হওয়ায় বুধবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মৃতার ভাইপো রাজ মালের অভিযোগ, “চিকিৎসকেরা অক্সিজেন এবং একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলেও পিসির অবস্থা ভাল নয় জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু ওখানে বা বাইরে কোথাও অ্যাম্বুল্যান্স পেলাম না। বেঘোরে মরতে হল পিসিকে।” অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে আর যাতে কাউকে এ ভাবে মরতে না হয়, তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে বলে রাজের দাবি।
অকারণে মৃতার আত্মীয়দের একাংশ অশান্তি করেছেন দাবি করে গোঘাট-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রণদীপ চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রসূতি এবং শিশুদের জন্য একটি নির্দিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্স (১০২) ছাড়া আমাদের নিজস্ব আর কোনও অ্যাম্বুলেন্স নেই। পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুল্যান্সটি আগেই অন্য রোগী নিয়ে গিয়েছিল। এরপরেও এখানে যোগাযোগ রাখা অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে বলা হয়েছিল। সেটা পৌঁছনোর আগেই রোগিণীর মৃত্যু হয়। খুব খারাপ অবস্থায় তাঁকে আনা হয়েছিল। কয়েক মিনিট চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসায় ত্রুটি ছিল না।”