—প্রতীকী ছবি।
জমি নিয়ে বিবাদের জেরে রাস্তায় ফেলে এক যুবতী ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে (তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ, সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানিক দাস, বেড়াবড়ি পঞ্চায়েতের তিন তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার একটি অংশ নিয়ে দীপঙ্কর সাঁতার ও কাশীনাথ সাঁতারের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। আদালতে মামলাও করেছে কাশীনাথের পরিবার। তাঁর ছেলে প্রভাতকুমার বলেন, ‘‘সোমবার দুপুরে আমার বাবা ও বোনকে পঞ্চায়েতে সদস্য অমিতা বাগ, পীযূষকান্তি ঘোষ সহ তাদের দলবল মারধর করেছে। বোনকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। শ্রাবণ মাসেই বোনের বিয়ের কথা। কী হবে জানি না।’’ বাবা-মেয়ে দু’জনেই নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। প্রভাতের দাবি, আদালত থেকে ওই জমিতে এখন কিছু করা যাবে না বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল ও পঞ্চায়েতের মদতে ওই জমিতে রাস্তা করা হচ্ছে।
আনন্দমোহন বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে ওরাই আমাদের দলের এক মহিলা সদস্যকে গলা টিপে ধরে। উনি থানায় অভিযোগ করেছেন।’’ কাশীনাথের পরিবার অন্যের জায়গা দখল করে নিকাশি নালা তৈরি করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। আনন্দের কথায়, ‘‘ওরা বঁটি নিয়ে তেড়ে এসেছিল। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।’’ তবে যুবতীকে মারধরের ঘটনার নিন্দা করেছেন তিনি।
মারধরে অভিযুক্ত অমিতা বলেন, ‘‘আমাকে মারধর করেছে। সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে।’’ যুবতী ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান দুধকুমার ধাড়ার কথায়, ‘‘যাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁরা আমাদের দলের পুরনো কর্মী। আমি প্রধান থাকাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয়েছিল। ব্লক সভাপতির সামনে এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।’’ গোলমালের খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিল পুলিশ। থানায় লিখিত অভিযোগ না হলেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।