TMC

Tarakeshwar: শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবকের ট্রাইসাইকেল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

জানা গিয়েছে, শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবকের নাম ইন্দ্র রায়। বছর চারেক আগে দু’টি পা পঙ্গু হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২১ ০০:০০
Share:

অভিযোগকারী যুবক। নিজস্ব চিত্র।

শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবককে বিজেপি-র তকমা লাগিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া ট্রাই সাইকেল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তারকেশ্বরের সামসেরপুর এলাকার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর ঘোষ। বালিগরি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি চন্দ্রশেখর। তিনি আবার সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের ছায়াসঙ্গী হিসেবে এলাকায় পরিচিত বলে দাবি স্থানীয়দের।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শারীরিক ভাবে অক্ষম যুবকের নাম ইন্দ্র রায়। বছর চারেক আগে দু’টি পা পঙ্গু হয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাঁকে একটি ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। ওই ট্রাই সাইকেলে লটারির টিকিট বিক্রি করে সংসার চালান ওই যুবক। সংসারে বাবা, স্ত্রী এবং দুই সন্তান আছে তাঁর।

ইন্দ্রের অভিযোগ, মাসখানেক আগে এলাকার যুবকদের বিজেপি তকমা লাগিয়ে মারধর করেন তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর এবং তখনই ট্রাই সাইকেলটি কেড়ে নেন তিনি। সেই সাইকেল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে রাখা আছে বলে দাবি ইন্দ্রের।

Advertisement

তিনি জানান, ট্রাই সাইকেল না থাকার কারণে একমাস ধরে বেকার হয়ে বসে আছেন। ইন্দ্রর দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও অভিযোগ নেয়নি। ট্রাই সাইকেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। যে যুবক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই যুবক সাইকেল আমার বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

অন্য দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের হুগলি জেলার সহ-সভাপতি স্বপন সামন্ত বলেন, “এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে এটা কেউ চক্রান্ত করেছে। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি-র আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের বুথ সভাপতি একজন দুষ্কৃতী। শারীরিক ভাবে অক্ষম এক যুবকের উপর এই নির্মম অত্যাচার ধিক্কারজনক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement