কারখানায় ঢুকে তৃণমূল নেতা হুমকি দেন বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
কারখানা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে জোর শোরগোল হাওড়ার নাজিরগঞ্জের শালিমার পেন্ট ফ্যাক্টরিতে। কারখানার অফিসার এবং কর্মচারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন হাওড়া সিটি থানার পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ জানুয়ারি। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা সাজ্জাদ আলি শেখ কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক অফিসারকে ফোন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, পরের দিন, অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি সাজ্জাদ দলবল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় সোজা কারখানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তারক্ষীদের হুমকি দেন। দাবি করেন, কারখানার যাবতীয় বরাত তাঁদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে দিতে হবে। এমনকি, লরি চালকদের কাছ থেকেও তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কারখানার অফিসার এবং কর্মীরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ নাজিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানান।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেকে তৃণমূলের দক্ষিণ হাওড়া সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি বলে দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং শালিমার পেন্টস কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের বকেয়া প্রাপ্য দেননি। কারখানার মালপত্র রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা। ওই কারণেই তাঁরা কর্মচারীদের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। টাকা চাওয়া কিংবা হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, তার প্রমাণ চান তিনি।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল এ ধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। কেউ পদ নিয়ে বসে থাকবেন এবং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তা মেনে নেওয়া হবে না।’’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) প্রতীক্ষা ঝাঁখারিয়া জানান, ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।