মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে বাংলার এই অন্যতম প্রাচীন বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপ।
পুজো মণ্ডপ গড়ে উঠেছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে। তবে শুধু মণ্ডপ গড়েই হাত গুটিয়ে নেওয়া নয়। পুজো মণ্ডপে গেলে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে লক্ষ্মীলাভেরও সুযোগ। প্রতি দিন লটারির মাধ্যমে ৫০০ টাকা নগদ পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন মহিলা দর্শনার্থীরা। তাদের ১৫০তম বর্ষপূর্তিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়ার সালকিয়া দুর্গোৎসব বারোয়ারি কমিটি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে বাংলার এই অন্যতম প্রাচীন বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপ। কামিনী স্কুল লেনের সাবেকি দুর্গাদালানের পাশে বাঁশের সেতুর মাঝখানে পয়সা জমানোর ভাঁড়ের আদলে তৈরি হয়েছে ওই মণ্ডপ। পুজো কমিটি সূত্রে খবর, পঞ্চমী থেকে নবমী প্রতি দিনই লটারির মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে জেতার সুযোগ থাকছে। শুধু মণ্ডপে এসে নাম, ফোন নম্বর লিখে জমা দিয়ে দিতে হবে। প্রতি আধ ঘণ্টা অন্তর তা থেকে লটারির মাধ্যমে এক জনকে বেছে নেওয়া হবে। প্রতি দিন মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে।
পুজো কমিটির সভাপতি শমিতকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের পুজোর থিম— বাংলার মা-বোনেদের জন্য চালু করা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার। মহিলাদের কাছে যা খুবই জনপ্রিয়। সেই কারণে এ বারের এই চিন্তাভাবনা। বেশি করে দর্শক টানতে এই পরিকল্পনা করেছি আমরা। আশা করছি, উত্তর হাওড়ার জনপ্রিয় পুজোগুলিকে টেক্কা দেবে আমাদের এই কনসেপ্ট।’’