Chinsurah

বর্জ্য সংগ্রহে ‘পরিষেবা ফি’ এ বার চালু হচ্ছে চুঁচুড়াতেও

আগামী ১ মার্চ থেকে এ নিয়ে প্রচার শুরু হতে চলেছে। ১৫ মার্চ থেকে নতুন ব্যবস্থা চালু করা তাদের লক্ষ্য। যার পোশাকি নাম ‘ইউজ়ার ফি’।

Advertisement

সুদীপ দাস

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২২
Share:

বিভিন্ন দোকানের ফেলা আবর্জনা ভ্যাট থেকে উপচে পড়েছে রাস্তার পাশে। চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ

উত্তরপাড়া, বৈদ্যবাটীর পর জঞ্জাল সংগ্রহে ‘পরিষেবা ফি’ চালু হতে চলেছে হুগলির সদর শহর চুঁচুড়াতেও। আপাতত বিভিন্ন বাজার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকেই ফি-র আওতাভুক্ত করা হচ্ছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী ১ মার্চ থেকে এ নিয়ে প্রচার শুরু হতে চলেছে। ১৫ মার্চ থেকে নতুন ব্যবস্থা চালু করা তাদের লক্ষ্য। যার পোশাকি নাম ‘ইউজ়ার ফি’। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যের জন্য প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দু’টি করে বালতি দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময় পরপর সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এই ব্যবস্থার প্রচার-সহ খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশেই ‘ইউজ়ার ফি’ চালু করা হচ্ছে। উত্তরপাড়ায় এই ব্যবস্থা ইচ্ছামূলক। অর্থাৎ, কেউ না চাইলে নাও দিতে পারেন। কিন্তু বৈদ্যবাটীর মতো চুঁচুড়াতেও তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জয়দেব বলেন, ‘‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির আকার ও বর্জ্যের পরিমাণ অনুযায়ী মাসে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে এই ফি দিতে হতে পারে। এ ধরনের পরিষেবার ক্ষেত্রে যা নগণ্য। এর ফলে পুরসভাও আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হবে। বাজারের ক্ষেত্রে দোকানপ্রতি ফি নেওয়া হবে কি না, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’

Advertisement

মাসকয়েক আগে জেলায় প্রথম ‘পরিষেবা ফি’ চালু করে উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভা। বর্তমানে বৈদ্যবাটীতেও এই ব্যবস্থা চালু আছে। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার নিজস্ব ভাগাড় (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) রয়েছে সুকান্তনগরে। সেখানে পুরসভার পাশাপাশি পাশের কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ এলাকার বর্জ্য ফেলা হয়। ভাগাড়েই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথক করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে, উৎসেই বর্জ্য পৃথক করার জন্য বছর কয়েক ধরেই বাড়ি বাড়ি সবুজ (পচনশীল) ও নীল (অপচনশীল) বালতি দিচ্ছে পুরসভা। সাফাইকর্মীরা সেই বালতিতে রাখা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান। তবে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে এ ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় না এখনও। প্রতিষ্ঠানগুলি মূলত বিভিন্ন রাস্তায় রাখা ভ্যাটে বর্জ্য ফেলে।

তবে, বেশ কিছু জায়গায় নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় না বলেও অভিযোগ আছে। পুরসভা এর জন্য পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবকেই দায়ী করেছে। নতুন ব্যবস্থায় ভাঁড়ার ভরলে কর্মীর অভাব দুর হবে বলে পুরসভার দাবি।

পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সুকান্তনগরের ভাগাড়ে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরি হবে। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সার তৈরি শুরুর আগেই নতুন ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ফি দিতে বহু ব্যবসায়ীই রাজি। আপত্তি তেমন শোনা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement