—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কালীপুজোর বিসর্জন-পর্ব মিটে গিয়েছে দিন চারেক আগে। তা সত্ত্বেও হাওড়ার গঙ্গার ঘাটগুলিতে এখনও ভাসছে খড়, কাঠামো-সহ নানা আবর্জনা। শনিবার থেকে ছটপুজো শুরু হলেও রামকৃষ্ণপুরের মতো বড় ঘাটের সামনের রাস্তায় স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে রয়েছে ভাসানের আবর্জনা। তারই মধ্যে দিয়ে হেঁটে গিয়ে গঙ্গার ঘাটে পুজো সারছেন পুণ্যার্থীরা। হাওড়া পুরসভার যদিও দাবি, ভাসানের সমস্ত আবর্জনাই ঘাট থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। এ জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ঘাট থেকে তুলে রাস্তায় যে আবর্জনা রাখা হয়েছে, তা-ও তুলে ফেলা হবে। কিন্তু এ দিন বিকেলেও সেই আবর্জনা তোলা হয়নি।
ছটপুজোর সময়ে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করে হাওড়া পুরসভার সাফাই বিভাগ। ছট উপলক্ষে হাওড়ায় গঙ্গার প্রায় ১৩৭টি ঘাটে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। পুণ্যস্নানে নামার পরে দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ দু’টি স্তরের ব্যারিকেড তৈরি করে। এ দিনও সকাল থেকে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে সেই দু’টি ব্যারিকেড তৈরির কাজ চলেছে। এর পরে বিকেল থেকেই পুণ্যার্থীরা গঙ্গার ঘাটে জড়ো হতে শুরু করেন। ঘাটের সামনে পড়ে থাকা আবর্জনার স্তূপ যে তাঁদের অসুবিধার কারণ হতে পারে, তা মানছেন পুরকর্তারা। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বললেন, ‘‘ভাসানের পরেই গঙ্গা থেকে সমস্ত আবর্জনা তুলে ফেলতে একটি এজেন্সিকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কেন ওই আবর্জনা তোলা হয়নি, তা খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এ দিন সকালেই জেলাশাসক পি দীপপ প্রিয়া, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী ও হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছটপুজোর জন্য শিবপুর ঘাট মেরামত করার পাশাপাশি সমস্ত ঘাটে পর্যাপ্ত আলো লাগানো ও পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন পুলিশকর্তারা। চলবে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারিও। ঘাটগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্নান করতে নেমে দুর্ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে লঞ্চ ও নৌকায় থাকছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা।
ডিসি (সদর) অলকনন্দা ভাওয়াল বললেন, ‘‘যাঁরা ঘাটগুলিতে গাড়ি নিয়ে আসবেন, তাঁদের জন্য একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে পার্কিংয়ের জায়গা মিলবে। এই প্রথম কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডুবুরিদেরও রাখা হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটলে সামাল দিতে।’’