—প্রতীকী চিত্র।
গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই লরির ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালকের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সামনে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে। যান নিয়ন্ত্রণে ট্র্যাফিক পুলিশ নিষ্ক্রিয়, এমন অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এই অভিযোগও করেন যে, ওই রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে যাতায়াত করেন। অথচ, এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তায় পুলিশি নজরদারি প্রায় নেই। শেষে চ্যাটার্জিহাট থানা থেকে পুলিশবাহিনী গিয়ে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকাশির কাজের জন্য ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের কয়েক জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করেছে হাওড়া পুরসভা। এর ফলে ওই রাস্তার পরিসর ছোট হয়ে যাওয়ায় একটি লেন দিয়েই উভয় দিকে যান চলাচল করছে। এ দিন ওই রাস্তার মাঝখানে একটি কাট আউট দিয়ে আচমকা ওই বাইকচালক রাস্তার এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে আসেন। সেই সময়েই তাঁকে ধাক্কা মারে সিলিন্ডার বোঝাই লরিটি। পুলিশ জানিয়েছে, নির্মলকুমার মজুমদার নামে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর বাঁ পা ভেঙেছে।
এ দিকে, দুর্ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। সমুদ্র বসাক নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, ‘‘এই রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে যাতায়াত করেন। ওই সময়টুকু ছাড়া অন্য কোনও সময়ে এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে না। তারা শুধু লরি, ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায় করে।’’
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, শুধু ড্রেনেজ ক্যানাল রোড নয়, ডুমুরজলা রিং রোডে প্রতিদিন বহিরাগত যুবকেরা মত্ত অবস্থায় বাইক রেস করেন। যার জন্য দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। শনিবার রাতেও এমন একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুই বাইক-আরোহী।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এ দিন ড্রেনেজ ক্যানাল রোড ও ডুমুরজলা রিং রোডে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে লরিটি। খোঁজ চলছে চালকের।’’