স্থানীয় সূত্রে খবর, বলাগড়ে একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন তাপস মাহাতো। পাশাপাশি ক্রিকেট কোচিংও করেন। —ফাইল চিত্র।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বলাগড় থানায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়েছে। যদিও শিক্ষকের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বলাগড়ের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন তাপস মাহাতো। পাশাপাশি ক্রিকেট কোচিংও করেন। অভিযোগকারিণী তাঁর কাছে বছর দুই ধরে টিউশন পড়ত। পাশাপাশি ক্রিকেটেও তালিম নিত। ছোট বয়সে বাবাকে হারানোর পর মামাবাড়িতেই থাকে ওই নাবালিকা। তার মামার অভিযোগ, ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেছেন মাস্টারমশাই। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন বছর খানেক ধরে ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন ওই শিক্ষক। মাস খানেক আগেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। ভাগ্নির কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি আইনি পদক্ষেপ করতে চান। কিন্তু অভিযুক্ত স্থানীয়দের দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চান বলে অভিযোগ। তিনি এ-ও জানান, তাঁর ভাগ্নিকে মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন শিক্ষক। নানা প্রলোভন দেখাতেন। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শনিবার রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিনি পাল্টা আইনের দ্বারস্থ হবেন কি না জানাননি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলাগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এবং ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়েছে।