পুতুল বানিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয়।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাঁকড়ার শিশু খুনের ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ। সন্দেহের বশে শিশুটির মা আসমা খাতুনের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী উমেশ দ্বিবেদীকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল। জেরায় চাপের মুখে তিনি খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানাল হাওড়া থানার পুলিশ। বুধবার পুতুল বানিয়ে শিশু খুনের ঘটনার পুনঃনির্মাণ করে পুলিশ।
মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ার বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের জলাধার থেকে বছর চারেকের শিশু শেখ সাহিলের দেহ উদ্ধার হয়। উমেশ পুলিশকে জানান, সম্প্রতি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে গিয়ে টিকিয়াপাড়ার ওই পরিত্যক্ত নির্মীয়মাণ বহুতল তাঁর নজরে আসে। এর পর গত সোমবার রাতের দিকে সাহিলকে ওই বহুতলে নিয়ে এসে জলাধারে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন উমেশ। বাঁকড়া থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই রহস্যের কিনারা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল কে কন্নন।
সাহিলের দেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সাহিলের মা আসমা কর্মসূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি পেশায় নতর্কী। সেই সূত্রেই উমেশের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। উমেশ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁদের বিয়ে হয় বছর খানেক আগে। কিন্তু সম্পর্কে জড়ানোর সময় প্রথম পক্ষের সন্তান সাহিলের কথা উমেশকে জানাননি আসমা। যার জেরেই তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই ক্ষোভ থেকেই সাহিলকে খুনের পরিকল্পনা করেন উমেশ।
উমেশ সব স্বীকার করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবারই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।