ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত গ্রামের এই রাস্তাটি সারানো হবে। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি জেলায় পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত রাস্তার কাজ এখনও চলছে। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-র নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে অভিযোগ জানিয়ে আরও ৩১০টি রাস্তার অনুমোদন মিলল। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলা এবং বিভিন্ন ব্লক থেকে ওই সব রাস্তার অধিকাংশ দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’
জেলা এবং বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার দাবিতে হুগলির ১৮টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছিল। বেশ কিছু রাস্তা পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় না থাকায় গ্রামবাসীরা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে জানিয়েছিলেন। রাজ্য থেকে সেই তালিকা জেলায় পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের তরফে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট পাঠানো হলে ৩১০টি রাস্তার অনুমোদন মিলেছে।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ বা ‘দিদিকে বলো’ — যে ভাঁওতাবাজি নয়, এটা তারই প্রমাণ। যে কোনও ক্ষেত্রেই তাঁর কাছে অভাব-অভিযোগ থাকলে তা মুখ্যমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেন। আমি নিজেও বিধায়ক থাকাকালীন দিদিকে বলো কর্মসূচিতে জানিয়ে আরামবাগের সালেপুর চারমাইল থেকে দক্ষিণ নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি রাস্তা পেয়েছি।’’
গত বছরের ২৮ মার্চ পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। হুগলিতে প্রকল্পের প্রথম দফায় মোট ৬০৭টি বিভিন্ন মাপের রাস্তার (মোট দৈর্ঘ্য ১৭২০ কিলোমিটার) জন্য বরাদ্দ হয় ২৯৮ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। নব্বই শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যে কোনও সাধারণ মানুষ অভাব-অভিযোগ এই কর্মসূচির নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে জানাতে পারেন।
ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ পঞ্চায়েতের দুই রাস্তারও বরাত মিলল এই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোনের মাধ্যমেই। কামালপুর থেকে গঙ্গার ধার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রায় ৫৮ লক্ষ এবং শ্রীকান্ত গ্রামে সাতশো মিটার রাস্তার জন্য প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা বরাত মিলেছে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শীঘ্রই রাস্তার কাজ চালু হবে।