Fire

হাওড়ার ডুমুরজলায় বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একের পর এক বাড়ি, হাহাকার বাসিন্দাদের

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে একটি বড় আবাসনের পাশে থাকা বস্তিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। বস্তিবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০
Share:

আগুনের গ্রাসে বস্তি। —নিজস্ব চিত্র।

বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে হাওড়ার ডুমুরজলার ইছাপুর ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের বস্তি। ঘটনাস্থলে পৌঁছল দমকলের অন্তত পাঁচটি ইঞ্জিন। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশও। আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি বস্তির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে গেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে একটি বড় আবাসনের পাশে থাকা বস্তিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সেই আগুন। গোটা বস্তিটাই আগুনের গ্রাসে চলে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বস্তির ৭০-৮০টি বাড়ি। আগুন দেখে আগেই বস্তিবাসীরা বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে দমকল। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও আসে। পুলিশ এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বস্তিবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

অন্য দিকে, নিরাপত্তার খাতিরে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। অন্য দিকে, আগুন যত ছড়িয়েছে, ততই ক্ষতির বহর বেড়েছে। একের পর এক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

আগুন লাগার কারণও এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড।

শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে দমকলের ১০টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু ৫০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোখের সামনে বাড়ি পুড়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা। মন্ত্রী সুজিত বসু অবশ্য সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলাশাসককে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে কথা বলে নতুন ঘর বানিয়ে দিতে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বস্তিবাসীদের আপাতত একটি কলেজে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement