ইটাচুনা কলেজ মাঠ থেকে পোলবার সংগ্রামপুর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তার হাল। নিজস্ব চিত্র
‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে আগামী বুধবার পান্ডুয়ার ইটাচুনা কলেজ মাঠে জনসভা করতে আসার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বারাবর চলছে মাঠ পরিদর্শন। কিন্তু ওই মাঠ থেকে পোলবার সংগ্রামপুর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় ১২ কিমি রাস্তাটি দীর্ঘদিন বেহাল। নানা মহলে দরবার করেও হতাশ গ্রামবাসীরা তাই এ বার অভিষেকের কানে ওই রাস্তার কথা তুলতে চাইছেন।
ওই রাস্তার ধারেই ছোট সরষা গ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দা জয় বসুর ক্ষোভ, ‘‘অনেকবার জেলা পরিষদকে রাস্তার কথা জানানো হয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি।’’ ওই গ্রামের আর এক বাসিন্দা গোপাল বাগ বলেন, ‘‘অভিষেকের সভার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ শুনছেন না। রাস্তাটি সংস্কার হলে কয়েক হাজার মানুষ নিশ্চিন্ত হন। আমরা অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানাতে চাই। শুনেছি, উনি গ্রামবাসীর অভিযোগে শুনছেন। আশা করছি এ বার সুরাহা হবে।’’ একই কথা বলছেন আরও অনেকে।
রাস্তাটি জেলা পরিষদের অধীন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুনেছি, রাস্তাটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। আমি নিজে একবার যাব। গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলব। চেষ্টা করব দ্রুত রাস্তা সংস্কার করার।’’
ওই রাস্তায় সংগ্রামপুর মোড় থেকে ইটাচুনা গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের আগে সময় লাগত মিনিট ২৫ মিনিট। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে এখন যেতে ৪০-৫০ মিনিট লেগে যাচ্ছে বলে অ্যাম্বুল্যান্স-চালকেরা জানিয়েছেন। টোটো-অটো চালকদেরও একই অবস্থা।
বড় সরষা গ্রামের বাসিন্দা সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খারাপ রাস্তার জন্য গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে চায় না। এই রাস্তা দিয়েই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতাল, ইটাচুনা কলেজ, এমনকি, ইটাচুনা রাজবাড়িও যেতে হয়। ভোগান্তি হচ্ছে সকলের।’’