Junior Doctor Clinic

অভয়া ক্লিনিকে পরিষেবা চুঁচুড়ায়, ক্ষোভ আরামবাগে

সোমবার তা ফের খোলার কথা থাকলেও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এ দিন থেকেই দু’দিনের কর্মবিরতি ডাকায় বহির্বিভাগ খুলল না চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া, আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:৩৮
Share:

আর জি কর এবং জয়নগর কান্ডে সঠিক বিচারের দাবীতে চিকিৎসকেরা হাসপাতালের বাইরে অভয়া ক্লিনিক চালু করে চিকিৎসা করছেন। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।

আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে পুজোর মধ্যে চিকিৎসকদের আন্দোলন জারি ছিল কলকাতায়। সেই সময় জেলায় চিকিৎসকদের তেমন কোনও কর্মসূচি দেখা যায়নি। কিন্তু পুজো মিটতেই হুগলিতে সেই আন্দোলনের আঁচ এসে পড়ল।

Advertisement

পুজোর জন্য গত সপ্তাহে হুগলির সরকারি হাসপাতালগুলির বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। সোমবার তা ফের খোলার কথা থাকলেও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এ দিন থেকেই দু’দিনের কর্মবিরতি ডাকায় বহির্বিভাগ খুলল না চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। তবে, জরুরি বিভাগ ও অন্তর্বিভাগের পরিষেবা চালু রাখা হয়।

এ দিন বহির্বিভাগের জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট ঘরে না বসে চিকিৎসকেরা লিফটের সামনে ‘অভয়া ক্লিনিক’ খুলে পরিষেবা দেন। শিশু চিকিৎসক পার্থ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘বাইরের সমস্ত ক্লিনিক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই সোমবার রাত ৮ টা পর্যন্ত অভয়া ক্লিনিক খোলা ছিল। একই সঙ্গে মোট ৬ চিকিৎসক এ দিন সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন।’’

Advertisement

তবে জরুরি পরিষেবা বাদে অচল রইল আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল-সহ মহকুমার সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের চেম্বার। এ দিন এখানেও ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন থাকলেও, খোলা হয়নি টিকিট কাউন্টার। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই—এমন রোগীদের বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বার থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ জানান অনেক রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।

ডায়াবিটিসে আক্রান্ত স্বামীকে হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য এনেছিলেন খানাকুলের ঠাকুরানিচকের প্রৌঢ়া মিতা ঘোড়ুই। তাঁর অভিযোগ, “কোনও চিকিৎসা বা নতুন প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াই ফিরতে হচ্ছে। হাসপাতালের মতো জায়গায় এগুলো কি ঠিক হচ্ছে?”

আংশিক কর্মবিরতি পালন করা আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক তথা প্রফেসর কেশব সিংহ রায়ের দাবি, “মানুষের অসুবিধা হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। সরকারের উদাসীনাতার জন্য আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’’ আরামবাগের হাসপাতালের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, “আংশিক কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও রোগীদের বিশেষ অসুবিধা হয়নি। বহির্বিভাগে আসা জটিল রোগীগুলিকে জরুরি বিভাগে বা বিশেষ ভাবে দেখে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement