সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হুগলি জ্যোতিষচন্দ্র বিদ্যাপীঠে ঢুকে মিডডে মিল চেখে গেলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাত-ফুলকপির তরকারি খেয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তেল-মশলা ছাড়া এত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার খুব ভাল। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এমনটাই প্রয়োজন।’’
বছর পাঁচেক আগে হুগলির প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আচমকা চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে ঢুকে মিডডে মিলে শুধু ‘নুন-ভাত’ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে। এ নিয়ে প্রশ্নে রচনা বলেন, ‘‘কবে কে কী দেখেছে, বলেছে জানি না। আমি এসে দেখলাম, খুব ভাল রান্না হয়েছে।’’
বিজেপি অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘ঢাক বাজিয়ে স্কুলে গেলে মিডডে মিল ভাল হবেই। সত্যিকারের দেখতে হলে লকেটদির মতো হঠাৎ কোনও স্কুলে গিয়ে দেখুন।’’ রচনা এই কটাক্ষকে আমল দেননি।
এ দিন বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে হুগলি মহসিন কলেজে যান সাংসদ। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্পর্কে অবগত হন। শেষে পড়ুয়াদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর পৌঁছন হুগলি উইমেন্স কলেজে। সেখানে ছাত্রীদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখার বার্তা দেন। পরে একইভাবে অনুকূলচন্দ্র শিক্ষানিকেতন এবং গড়বাটী হাই স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রচনা পৌঁছন জ্যোতিষচন্দ্র বিদ্যাপীঠে। প্রথমেই রান্নাঘরে। গামলার ঢাকনা সরিয়ে ফুলকপির তরকারি দেখে স্বাদ নিতে চান। রন্ধন কর্মীরা একটি স্টিলের থালায় তাঁকে কিছুটা তরকারি দেন। হাত ধুয়ে সেই থালা নিয়ে তাতে ফুলকপি দেখতে না পেয়ে রচনা চেয়ে নেন। কপি দিতেই রচনা মজা করে বলেন, ‘‘ও, ভাত দেবেন না! শুধু কপি খাইয়েই ছাড়বেন!’’
চাহিদা মতো পাতে দেওয়া হয় সামান্য ভাত। কপির তরকারি দিয়ে মেখে সেই ভাত মুখে পুরে রচনা অপূর্ব স্বাদের ইঙ্গিত করেন।