Uttarpara TMC

বিধায়কের দেখা নেই উত্তরপাড়ায়, প্রশ্ন দলেও

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জেতার পর থেকেই এলাকায় কাঞ্চনের ‘অনুপস্থিতি’ নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে বিধায়ক নিজেও বিরক্ত হয়েছেন।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৯:০৪
Share:

লোকসভার ভোটের প্রচারে উত্তরপাড়ার দলীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।

কোথায় তিনি!

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন উত্তরপাড়ার দলীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে। তবে, কোন্নগরের নবগ্রামের সেই ঘটনার পর থেকে নিজের বিধানসভা এলাকায় কাঞ্চনকে সে ভাবে আর দেখা যাচ্ছে না। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়।

এলাকায় তাঁর অনুপস্থিতি কি প্রচার-পর্বের সেই ঘটনায় মান-অভিমানে? এই প্রশ্নে শনিবার বিকেলে বিধায়ক কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মান-অভিমান অতীত। ওই সব কোনও বিষয় নয়।’’ এর পরেই শাসকদলের অভিনেতা-বিধায়ক জানিয়ে দেন, ‘আউটডোর শ্যুটিং’-এ ব্যস্ত আছেন। আর বিশেষ কথা এগোয়নি।

Advertisement

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জেতার পর থেকেই এলাকায় কাঞ্চনের ‘অনুপস্থিতি’ নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে বিধায়ক নিজেও বিরক্ত হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রচার-পর্বে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন শুনে কাঞ্চন পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘আমি কি প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অফিস করব?’’ এ-ও দাবি করেছিলেন, তিনি এলাকায় আসেন। তাঁর কাজও আটকে থাকে না।

তৃণমূল সূত্রের খবর, বিধায়ক হওয়ার পরেই কাঞ্চন উত্তরপাড়া এবং কোন্নগরে একাধিক কার্যালয় খোলেন। সেখানে অনিয়মিত হলেও মাঝেমধ্যেই আসতেন। কিন্তু গত বেশ কিছু দিন ধরেই বিধায়কের দেখা মিলছে না। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদর মধ্যেও এ নিয়ে প্রশ্ন আছে সাধারণ মানুষের মতোই। লোকসভায় কল্যাণের টানা চতুর্থ বার জয়ের সুবাদে শুক্রবার তৃণমূল উত্তরপাড়ায় বিজয়-মিছিল করলেও সেখানে দেখা মেলেনি কাঞ্চনের।

উত্তরপাড়া শহর তৃণমূল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘মাখলায় আমাদের ক্লাবের অফিসেই বিধায়ক বসেন। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বইয়ে একটি শ্যুটিংয়ের কাজে এক মাস ব্যস্ত থাকায় এলাকায় আসতে পারছেন না। তবে তাঁর আপ্ত-সহায়ককে তিনি অফিসে পাঠান। আয় সংক্রান্ত শংসাপত্র, বাসস্থানের শংসাপত্র-সহ কিছু নথি জরুরি ভিত্তিতে মানুষের প্রয়োজন হয়। সেই সব আমরা বিধায়কের আগাম সই করিয়ে রাখায় এলাকার মানুষজনের কাজকর্ম কোনও ভাবে চলে যাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement