—প্রতীকী চিত্র।
পুরসভা বন্ধ করে দিয়েছিল এলাকার একটি ভ্যাট। তার পরেও সেখানে স্থানীয় বাজারের আবর্জনা ছাড়া আশপাশের বাড়ি ও বহুতলের জঞ্জাল ফেলা হচ্ছিল। সেই আবর্জনা উপচে এসেছিল রাস্তায়। দুর্গন্ধে যাতায়াত করাই দায় হয়ে উঠেছিল বাসিন্দাদের। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টা থেকে হাওড়ার পিলখানার কাছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কারখানার সামনে জি টি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়েরা। শেষে পুলিশ এসে পুরসভাকে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কয়েকশো বিক্ষোভকারী চেয়ার, কাপড় পেতে জি টি রোডের উপরে বসে পড়েন। রাস্তায় ছড়িয়ে দেন আর্বজনা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল বেশি। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তার ধারে থাকা একটি ভ্যাট আগেই বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তার পরেও পিলখানা বাজারের ব্যবসায়ীরা সেখানেই নিত্য দিনের আর্বজনা ফেলছিলেন। আশপাশের ফ্ল্যাট থেকেও জঞ্জাল ফেলা হচ্ছিল ওই ভ্যাটে। মাঝেমধ্যে পুরসভার সাফাইকর্মীরা এসে ভ্যাটটি পরিষ্কার করে দিতেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তা না হওয়ায় যাবতীয় আর্বজনা রাস্তায় উপচে আসে।
রমা সিংহ নামে স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘‘শুধু আর্বজনা ফেলাই নয়, ওই এলাকায় বেআইনি পার্কিং থেকে শুরু করে সাট্টা, জুয়া সবই চলে। বার বার পুলিশ ও পুরসভাকে জানিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা পথে নেমেছি।’’
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ভ্যাটটি বন্ধ করে দেওয়া হলেও এলাকার আর্বজনা সেখানে ফেলা হচ্ছিল। সাফাইকর্মীরা ভ্যাটটি পরিষ্কার করতেন। কিন্তু ছুটি চলায় কর্মী কম থাকায় ভ্যাটটি পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা এলাকার লোকজনকে বলেছি, তাঁরা যেন সেখানে আর আর্বজনা না ফেলেন।’’ এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলে। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই জায়গায় বেআইনি পার্কিং আর জুয়া-সাট্টার যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’