পণ্ডিতদের লেখা পুঁথি। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার পণ্ডিতদের লেখা প্রায় ছ’হাজার পুঁথি রাখা রয়েছে একটি সংগ্রহশালায়। ওই পুঁথিগুলি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিল হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজ। তৈরি করা হবে একটি ডিজিটাল গ্রন্থাগার। বর্তমানে সেই সব পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সাহায্যে এই কাজ হচ্ছে।
চলছে পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার পি ১৪ হরেন্দ্রনাথ ঘোষ সরণিতে রয়েছে হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজ। ১৯৩৭ সালে একটি গ্রন্থাগার দিয়ে পথচলা শুরু। এর পর প্রাচীন দুর্মূল্য পুঁথি সংগ্রহের কাজ শুরু করে তারা। হাওড়ার বিভিন্ন পণ্ডিতদের লেখা প্রায় ছ’হাজার পুঁথি স্থান পেয়েছে তাদের সংগ্রহশালায়। যেগুলির বেশির ভাগই পনেরো শতক ও তার পরের সময়কালে লেখা। ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে এই পুঁথিগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে এখানে। তবে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এ বার বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সাহায্যে এই সমস্ত পুঁথির ডিজিটালাইজেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, গবেষণার কাজে ওই পুঁথিগুলি খুবই জরুরী ভূমিকা নেবে। ডিজিটালাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ হলে গবেষকদের কাজের নতুন দিক খুলে যাবে।
রয়েছে প্রায় ছ’হাজার পুঁথি। —নিজস্ব চিত্র।
সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখানে বহু পুঁথি রয়েছে যেগুলি এখনও অমুদ্রিত। রামায়ন, মহাভারতের উপর লেখা পুঁথি যেমন রয়েছে, তেমনই পুরাণ, দর্শন, ব্যাকরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখা পুঁথিও আছে। দেশ-বিদেশের গবেষকেরা এখানে আসেন গবেষণার কাজে। কিন্তু, হাতে হাতে ব্যবহার করলে পুঁথিগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুঁথিগুলির ডিজিটালাইজেশন করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।” ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র বলেন, “প্রাচীন এই পুঁথিগুলিতে যা তথ্য রয়েছে তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ডিজিটালাইজেশনের কাজ করা হচ্ছে। এই সব প্রাচীন পুঁথি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি নিয়ে ডিজিটাল লাইব্রেরি বানানো হবে।”