Pandua

সাত পঞ্চায়েতে ৭৫ লক্ষ টাকারও বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া

পঞ্চায়েতের কর্তারা বলছেন, খেতে মিনি ডিপ-টিউবওয়েল, জলপ্রকল্প, পথবাতির সঙ্গে গত কয়েক বছরে হাইমাস্ট আলোর খরচ যোগ হয়েছে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে। 

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ০৮:৫৮
Share:

বকেয়া বিদ্যুতের বিল। Sourced by the ABP

আয় নেই। খরচ বিপুল। ফলে, লক্ষ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের। বকেয়া দ্রুত মেটাতে বার বার নোটিস পাঠাচ্ছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। টাকা মেটাবে কী করে, তা নিয়ে পঞ্চায়েতগুলি চিন্তায়। টাকা না পেয়ে বিদ্যুৎ দফতর বিপাকে।

Advertisement

বিদ্যুৎ সংস্থা সূত্রের খবর, জায়ের-দ্বারবাসিনী, সিমলাগড়-ভিটাসিন, নিয়ালা-ক্ষীরকুন্ডি-নমাজগ্রাম, বেলুন-ধামাসিন, সরাই-তিন্না, পাঁচগড়া-তোরগ্রাম এবং পান্ডুয়া— মোট ৭টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে বকেয়ার অঙ্ক ৭৫ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। একা পান্ডুয়া পঞ্চায়েতেরই ৩৯ লক্ষ টাকা বাকি।

পঞ্চায়েতের কর্তারা বলছেন, খেতে মিনি ডিপ-টিউবওয়েল, জলপ্রকল্প, পথবাতির সঙ্গে গত কয়েক বছরে হাইমাস্ট আলোর খরচ যোগ হয়েছে পঞ্চায়েতের ঘাড়ে। হিসাব বলছে, ওই ৭টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে হাইমাস্ট আলোর সংখ্যা শতাধিক। কিন্তু, সেই তুলনায় আয় নেই। পান্ডুয়া বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বারবার নোটিস পাঠিয়েও কাজ হচ্ছে না। টাকা আদায়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের উপরে চাপ রয়েছে। মহা সমস্যা।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, আগে ট্রেড লাইসেন্স তারাই দিত। তার সঙ্গেই এলাকা উন্নয়ন বাবদ অনুদান আদায় করা হত। এখন অনলাইনের মাধ্যমে সরকার সরাসরি ট্রেড লাইসেন্স দেয়। ফলে, এই খাতে পঞ্চায়েতের আয় শূন্য। পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ট্রেড লাইসেন্স পঞ্চায়েতের হাতে আর নেই। তার জেরে আয় তলানিতে। হাইমাস্ট আলোর জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল আসে। কী করে বকেয়া মেটনো যায়, চেষ্টা চলছে।’’ বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুজয় ধোলেরও একই বক্তব্য।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের অভিযোগ, বিধায়ক বা সাংসদ তহবিলের টাকায় বসানো ওই সব হাইমাস্টের অধিকাংশের মিটার নেই। ওই আলো বসাতে দফতরের অনুমতিও নেওয়া হয় না। এলাকার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন এবং বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক রত্না দে নাগের বক্তব্য, বিধায়ক তহবিলের টাকায় হাইমাস্ট আলোর ক্ষেত্রে তা বসানো, রক্ষণাবেক্ষণ বিল মেটানোর দায়িত্ব পঞ্চায়েত নেয়। এই মর্মে তারা জেলাশাসককে জানিয়ে দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement