বাউড়িয়া নদীঘাট ঘুরে দেখছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
পুজোর মরসুম। কাল, রবিবার বিকেলে এবং সোমবার ভোরে নদীতে জমবে ছটপুজোর ভিড়। সেখানে পুণ্যার্থীদের পুজো দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য শুক্রবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাউড়িয়া, চেঙ্গাইলে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করল পুলিশ-প্রশাসন। ছটপুজো উপলক্ষে ঘাটগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি আলো দিয়ে
সাজানো হচ্ছে।
উলুবেড়িয়া পুর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ছটপুজো দিতে গঙ্গার ঘাটে আসেন। পুজো দেখতে বহু মানুষ জড়ো হন। মেলার পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশ ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানান, ঘাট থেকে জলের কিছুটা দূরে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে, যাতে বিপত্তি এড়ানো যায় অথবা তেমন পরিস্থিতি হলে সহজে উদ্ধার করা যায়। প্রত্যেকটি ঘাটে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয়েছে। এ ছাড়াও ঘাট ও সংলগ্ন এলাকা আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঘাটে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা শিবির করা হবে। সেখানে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন। কাউকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্সও মজুত থাকবে।
নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সিসিক্যামেরা লাগানো হবে। গঙ্গায় লঞ্চে নজরদারি চলছে। ডুবুরি রাখা হবে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের দাবি, ঘাটে যাতে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ও পোড়ানো না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে। পুরপ্রধান অভয় দাস বলেন, ‘‘পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমস্ত ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে। পুজোর দিনেও পুরসভার সাফাইকর্মীরা ঘাটে উপস্থিত থাকবেন। ঘাট এবং এবং আশপাশের এলাকার আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে।’’ পুর কর্তৃপক্ষের তরফে প্রত্যেকটি ঘাট পরিদর্শন করা হয়েছে বলে পুরপ্রধান জানান।
হুগলির বলাগড় ব্লকেও ছটপুজো নির্বিঘ্নে করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস জানান, কুন্তীঘাটের ঝুলন্ত সেতু লাগোয়া ঘাট, বলাগড় ফেরিঘাট, গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, আলো লাগানো হচ্ছে। পুজোর দিন ঘাটে দড়ি দিয়ে কোমর জল পর্যন্ত ঘেরা থাকবে, যাতে কেউ গভীর জলে চলে যেতে না পারেন। নিরাপত্তার জন্য ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা থাকবেন। থাকবে স্পিডবোট। পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন।