—প্রতীকী চিত্র।
হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে হাওড়া থানার পুলিশ। আরা সেই তদন্তেই উঠে এসেছে নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতাল থেকে শিশুটি চুরিই হয়নি। শিশুটির মা নিজেই হাওড়া স্টেশনে তাঁর সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যান। সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। হাওড়া জিআরপি এবং রেল স্টেশনের চাইল্ড লাইনের কর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাকে লিলুয়া চাইল্ড লাইন হোমে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে হাওড়া জেলা হাসপাতালের সামনে থেকে তাঁর সন্তান চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিমি পরভীন নামে এক মহিলা। তিনি দাবি করেন, হাসপাতালের সামনে এর মহিলার কোলে তাঁর সন্তানকে দিয়ে তিনি ‘ডায়াপার’ কিনতে যান। ফিরে এসে দেখেন ওই মহিলা উধাও। হন্যে হয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে মহিলা এবং তাঁর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন বাচ্চাটিকে চুরি করা হয়েছে। এই কথা ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ দেখেই পুলিশের হাতে আসে নতুন তথ্য। এর পর সিমিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাওড়া থানা ও মহিলা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সিমি জানিয়েছেন, তাঁদের সংসারে অভাব রয়েছে। তাই সন্তানকে মানুষ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই কারণে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সন্তানকে হাওড়া স্টেশনে ফেলে রেখে আসে সে। আশা ছিল, স্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের কেউ তাকে নিয়ে গিয়ে মানুষ করবে। কিংবা পুলিশের লোকজন তাকে নিয়ে গেলে সরকারি সাহায্যে মানুষ হবে। যদিও সিমির এই জবানবন্দি কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।