চুঁচুড়া জাল শংসাপত্র-কাণ্ডে ধৃত যুবক। নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বার করতে গিয়ে হুগলির চুঁচুড়ায় ধৃত এক যুবক। ধৃতের নাম মহম্মদ রাজা। বাড়ি মুর্শিদাবাদে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধায় চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডে হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে গিয়েছিলেন রাজা। ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন জানান তিনি। রাজ্য ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে দেখিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স পাওয়া যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসি কাউন্সিলের দেওয়া সেই ‘শংসাপত্র’ খতিয়ে দেখতেই ধরা পরে যে সেটি জাল।
পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি শংসাপত্র এক জন ফার্মাসিস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শংসাপত্রের পিছনে কোন ওষুধের দোকানে সেটি ব্যবহার করা হবে তা লিখে সিল দিয়ে দেওয়া হয়। শংসাপত্রে কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের সই থাকে। সেই সই দেখে সন্দেহ হয় ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের কর্মীদের। হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নীলেন্দু মণ্ডল, ‘‘শংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয়েছিল আমাদের। তার পর সেটি ভালো করে খতিয়ে দেখা হয়। কম্পিউটারে তথ্য পরীক্ষা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় টালিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে ফার্মাসি নিয়ে পড়েছে।’’
নীলেন্দুর দাবি, যে শংসাপত্রটি রাজা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে জমা দিয়েছেন সেটি ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি দোকানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পিছনে একটা বড় চক্র আছে। চুঁচুড়া থানার তরফে শনিবার রাজাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তকারীদের দাবি, ওই জাল শংসাপত্র তৈরির একটা চক্র কাজ করছে। জাল শংসাপত্র বানিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স বার করে ভাড়া খাটানো হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন জড়িত আছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তাদের সন্ধান চালানো হবে।’’