arrest

Arrest: ব্যবসার আড়ালে চুরি, ধৃত ৭ কম্বল বিক্রেতা

পুলিশের বক্তব্য, কম্বল বিক্রেতাদের সবাই অসাধু নন। অনেকেই ভিন্‌ রাজ্য থেকে পশ্চিমঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এসে বহু বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১ ০৮:২৪
Share:

n রাস্তার ধারে শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করছে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। ছবি: সুশান্ত সরকার।

শীত পড়তেই পথের ধারে কম্বল-সহ শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে অস্থায়ী দোকান দিয়েছেন অনেকে। কেউ পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ওই সব জিনিস ফেরি করছেন। একাধিক চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা এমনই সাত কম্বল বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে হুগলির মগরা থানার পুলিশ। ধৃত সাত জনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাদের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে।

Advertisement

ওই সাত জন ধরা পড়ার পরে এই ধরনের কারবারিদের পরিচয় সংগ্রহে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা থ। তাঁদের দাবি, পরিচয় খতিয়ে দেখা শুরু হতেই বেশ কয়েক জন দোকান গুটিয়ে হাওয়া! তবে, পুলিশের বক্তব্য, কম্বল বিক্রেতাদের সবাই অসাধু নন। অনেকেই ভিন্‌ রাজ্য থেকে পশ্চিমঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এসে বহু বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করেন। তারই ফায়দা নিয়ে মুষ্টিমেয় কয়েক জন দুষ্কর্ম করছে বলে তাঁরা মনে করছেন। কয়েক দিন আগে বলাগড় থানার পুলিশও চার জন কম্বল বিক্রেতাকে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল।

হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি মগরা, পান্ডুয়া, বলাগড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরির খবর আসছিল। তদন্তে নেমে গত শনিবার মগরা থানার পুলিশ এখানকার বোড়পাড়া এবং অসম লিঙ্ক রোডের ধার থেকে ওই সাত কম্বল বিক্রেতাকে ধরে। তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি, একটি মোটরবাইক, দু’টি সাইকেল এবং কয়েকটি দামি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা দোষ স্বীকার করে জানিয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় কম্বল বিক্রির নামে তারা এলাকা চিনে আসত। তার পরে সুযোগ বুঝে চুরি করত। বিভিন্ন জায়গায় তারা এই অপকর্ম করেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।

Advertisement

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘সব কারবারি অসৎ নন। যাঁরা অসাধু লোক, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’’ পান্ডুয়ার কলবাজারে জিটি রোডের ধারে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন নিজর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় থাকি। গত চার-পাঁচ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। দু’-তিন বছর ধরে অনেকে ভিন্‌ রাজ্য থেকে কম্বল বেচতে আসছেন। তাদের আমরা চিনি না। সকলের পরিচয় পুলিশের জানা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement