প্রতীকী ছবি।
জল থইথই রাস্তায় প্রায় আধ কিলোমিটার অ্যাম্বুল্যান্স ঠেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীকে শুক্রবার হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন চালক। কিন্তু সেই রোগীকে বাঁচানো গেল না। ভর্তি হওয়ার তিন দিন পরে, রবিবার রাতে অশোক ঘোড়ুই (৬২) নামে ওই রোগীর মৃত্যু হল মধ্য হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালে তুলকালাম বাধে রবিবার রাতে। ওই রোগীর পরিবার ও আত্মীয়েরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্মীদের মারধর করে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বৃষ্টির জেরে শুক্রবার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে প্রায় দেড় ফুট জল দাঁড়িয়েছিল। অশোকবাবুকে হাসপাতালে পৌঁছতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা বিকল হয়ে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্স ঠেলে নিয়ে যান। অশোকবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ ঘোড়ুই সোমবার বলেন, ‘‘বাবাকে সেই দিন থেকে আইসিইউয়ে ফেলে রেখে বিল বাড়িয়েছে। কোনও চিকিৎসা হয়নি। রবিবার দুপুর থেকে বাবার অবস্থা খারাপ হয়েছিল, তা-ও জানায়নি।’’
ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে এর আগেও চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে একাধিকবার তদন্ত কমিটি গড়া হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। হাসপাতালের ডিরেক্টর, চিকিৎসক সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, ওই রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে নিউরোলজির চিকিৎসা বা ভেন্টিলেটরে দেওয়ার কথা বলা হয় পরিবারকে। কিন্তু তাঁরা এই সব কিছু করবে না বলে লিখিত ভাবে জানিয়েছিল হাসপাতালকে। ফলে আইসিইউয়ে রেখে চিকিৎসা করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘রোগীর পরিবার রবিবার রাতে হাসপাতালের এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষী–সহ কয়েক জন কর্মীকে মারধর করেছেন। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’