অভিযুক্ত যুবকের বাইক ভাঙচুর করছেন স্থানীয়রা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশ্যে দিবালোকে হাওড়ার কিশোরীকে ‘অপহরণের চেষ্টা’র অভিযোগ! এক যুবককে হাতে নাতে ধরে ব্যাপক মারধর করলেন স্থানীয়রা। ভেঙেচুরে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হল তাঁর মোটরবাইক। বুধবার দুপুরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার অন্তর্গত ঝেড়ো আয়মাচক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার এক কিশোরীকে বাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ওই যুবক বাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বাঁশ দিয়ে বাইকটিকে ভেঙে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মুকেশকুমার সাহানি। পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি। সপরিবারে বড়গাছিয়া এলাকায় প্রায় ১২ বছর বাড়িভাড়া নিয়ে বসবাস করেন তিনি। মুকেশের দাবি, বুধবার দু’জন শ্রমিককে নিয়ে তিনি ঘোড়াদহ এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন। ভাইফোঁটা উপলক্ষে সেখানে কাজ বন্ধ রাখা হয়। ফেরার পথে শ্রমিকদের ছেড়ে গ্রামের ভেতরের রাস্তা দিয়ে সীতাপুরের একটি জায়গায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশ জানিয়েছেন, তিনি নিজের গন্তব্যে পৌঁছনোর রাস্তা জানতেন না। আর সেই কারণেই পথচলতি এক কিশোরীকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। ওই কিশোরী ঘাবড়ে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনেন। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা। কিছু ক্ষণ বাগ্বিতণ্ডার তাঁকে চোর এবং অপহরণকারী সন্দেহে মারধর করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর পুলিশ। এই নিয়ে থানায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আটক করা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।