ATM Fraud

হুগলির দু’টি এটিএমে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন, চুঁচুড়ায় গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের যুবক

অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছেন তাঁর নাম সোনু কুমার। তাঁর এক বন্ধু ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়ান। তাঁর কথাতেই চুঁচুড়ায় এসেছিলেন। সোমবার চুঁচুড়ায় আসেন তিনি। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে রাত কাটান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:২২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দু’দিন ধরে হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের দুটি এটিএম থেকে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় ওই যুবকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। চলছে তাঁর এক সঙ্গীর খোঁজ।

Advertisement

সোমবার বড়দিন উপলক্ষে চুঁচুড়ার চকবাজারের হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ছুটি ছিল। মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঙ্ক খোলে। ব্যাঙ্কের পাশেই রয়েছে এটিএম কিয়স্ক। ব্যাঙ্কের কর্মী অলোক পাল সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান, এক যুবক এটিএমের ভিতরে রয়েছেন। বার বার তিনি পিছনে তাকাচ্ছেন। তাঁর আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায়া সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের খবর দেন অলোক। সঙ্গে সঙ্গে এটিএম কিয়স্কের দিকে ছুটে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা ওই যুবককে ধরেন। খবর যায় চুঁচুড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন অভিযুক্তকে।

এক ব্যাঙ্ককর্মী জানান, তাদের এটিএম যে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তারা জানিয়েছে গত দু’দিনে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে দুটি এটিএম থেকে। একটি চকবাজারের। আর একটি ফুলপুকুর শাখায়। সব মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা তোলা হয়েছে। লেনদেনের সময় শাটার বন্ধ করে ওই লেনদেন করেন অভিযুক্তরা। এটিএম লেনদেন হওয়ার পর একটা ‘কোড’ আসে। সেটা থেকে জানা যায় লেনদেন সম্পর্কে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটিএম-এ টাকা তোলা যায়নি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা দাবি করা হয়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুরঞ্জন হালদার বলেন, ‘‘দু’দিনে লক্ষাধিক টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তাই আজ এক জন সন্দেহভাজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বলছেন, তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ দেখুক কী রহস্য আছে, এর পিছনে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছেন তাঁর নাম সোনু কুমার। তাঁর এক বন্ধু ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়ান। তাঁর কথাতেই চুঁচুড়ায় এসেছিলেন। সোমবার চুঁচুড়ায় আসেন তিনি। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে রাত কাটান। তার পর সকালে চকবাজারের এটিএম কিয়স্কে ঢুকেছিলেন টাকা তুলতে। যুবক দাবি করেছেন, এটিএম কার্ডটি তাঁর বোনের। বন্ধুকে ফোন করেও পাননি। তবে মঙ্গলবার পুলিশের সামনে ফোনে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলে বন্ধুর সঙ্গে। পুলিশ ফোন ধরতেই ওপার থেকে ফোন কেটে দেওয়া হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, সোনুর কথাবার্তায় যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। তাই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর বন্ধুরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে চুঁচুড়া থানার এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রে আর কারা আছেন, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement