—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গতবার সংখ্যাটা ছিল ২২। এ বার কমে ১৮!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় সাড়া দিয়ে কলকাতার মতো গত বছর থেকে চুঁচুড়াতেও পুজো কার্নিভাল শুরু হয় মূলত স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারের উদ্যোগে। হুগলি জেলার পুজো কার্নিভাল হলেও গতবার শুধুমাত্র চুঁচুড়ার ২২টি পুজো কমিটি কার্নিভালে সামিল হয়েছিল। জেলার অন্য কোনও পুজো কমিটি আগ্রহ দেখায়নি। এ বার সংখ্যাটা আরও কমে দাঁড়াল ১৮-য়। অর্থাৎ, গতবার যোগ দেওয়া চুঁচুড়ারই চারটি পুজো কমিটি আর কার্নিভালে সামিল হতে আগ্রহ দেখাল না। শেষ মুহূর্তে বিধায়ক ময়দানে না নামলে সংখ্যাটা আরও কমত বলেই মনে করছেন অনেকে।
আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কার্নিভাল হবে। কিন্তু কেন অনাগ্রহ বাড়ল?
অনেক পুজো উদ্যোক্তাই জানিয়েছেন, পুজোর খরচ টানার পর নতুন করে কার্নিভালের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। কার্নিভালে যোগদানকারী একাধিক পুজো কমিটির দাবি, বিধায়ক কিছুটা খরচের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তারা রাজি হয়েছে।
কাপাসডাঙা সর্বজনীনের সম্পাদক তথা তৃণমূলের পুর সদস্য নির্মল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজোর পুরো বাজেট হয়ে যাওয়ার পর আমাদের কার্নিভালে যোগ দিতে বলা হয়। এটা সকলের পক্ষে করা সম্ভব নয়। লক্ষাধিক টাকা খরচ। আমরাও প্রথমে পিছিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বিধায়ক কিছুটা ব্যয় ভারের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় রাজি হয়েছি।’’
বিধায়ক অসিতও খরচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করা আমার দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে কোনও কমিটি যদি আমার কাছে কিছু আব্দার করে, তা না রেখে যাই কোথায়!’’
বুধবার কার্নিভালের ‘রুট’ খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্তারা। এ দিনই ওই রাস্তার ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (চন্দননগর) ঈশানী পাল জানান, হাজার খানেক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তার মধ্যে অন্তত ১০০ জন মহিলা পুলিশ। কারবালা মোড় থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। বিবেকানন্দ রোড ধরে পিপুলপাতি থেকে বকুলতলা হয়ে গঙ্গার ধার ধরে অন্নপূর্ণা ঘাটে শেষ হবে। সেই ঘাটেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার্নিভালের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যোগদানকারী পুজো কমিটিগুলি পাঙ্খাটুলি, হুগলি মোড় এবং পেয়ারাবাগানের দিক থেকে কারবালার দিকে এসে কার্নিভালের রাস্তা ধরবে। প্রতিটি কমিটি সর্বাধিক পাঁচটি করে ট্রাক কিংবা ম্যাটাডর রাখতে পারবে।
চুঁচুড়ার পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা বাবুগঞ্জ সর্বজনীনের অন্যতম সদস্য জয়দেব অধিকারী জানান, বিকেল পাঁচটা থেকে কার্নিভাল শুরু হবে। কোন কমিটি আগে, আর কে পরে থাকবে তা লটারির মাধ্যমে ঠিক করা হয়েছে। পিপুলপাতি মোড় এবং প্রতাপপুরে দু’মিনিট করে কমিটিগুলি দাঁড়িয়ে প্রতিমা, আলোকসজ্জা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করতে পারবে।