পামেলা অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র
মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিজের হাতের তালুতে লিখে আত্মঘাতী হলেন জাতীয় স্তরের ক্যারাটেকা পামেলা অধিকারী। রবিবার রাতে হাওড়ার বালির বাসিন্দা, কিশোরী পামেলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকে। ওই ঘটনায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালি থানার পুলিশ।
বালির দেশবন্ধু ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি পামেলার। রবিবার রাতে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পামেলার ঝুলন্ত দেহ। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে এলে তাঁরা বালি থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বালি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই ঘটনায় সানি খান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে পামেলাকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পামেলার দিদি প্রিয়ঙ্কা অধিকারীর অভিযোগ, ‘‘বছর দুয়েক ধরে সানি নামে যুবক আমার বোনের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যেই সানি অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। সানি আমার বোনের থেকে কৌশলে ব্যক্তিগত মুহূর্তের নানা ছবি নিয়েছিল। তা দেখিয়ে নানা সময়ে ব্ল্যাকমেল করত।’’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্ল্যাকমেলের চাপে পড়েই ওই কিশোরী শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। নিশ্চিত হতে পুলিশ পামেলার আত্মীয় এবং বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
অভিযুক্ত সানির বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে বালি থানার পুলিশ। আচমকা এমন ঘটনায় হতবাক পামেলার বাবা মলয় অধিকারী। তিনি বলছেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছে এখনও আমরা বুঝতে পারছি না। কেন সে আত্মহত্যা করল জানি না। এ ভাবে মেয়েটা চলে যাবে মানতে পারছি না।’’ মলয়ের বক্তব্য, ‘‘আমার মেয়ে খেলাধূলা, পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। ও খুব মিশুকে ছিল।’’
আত্মহত্যার আগে পামেলা তাঁর মোবাইলের পাসওয়ার্ড হাতের তালুতে লিখে রেখেছিলেন। পুলিশ সেই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নেটমাধ্যমে পামেলার যে সব অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বালি থানা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সানির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।