বেঁধে দেওয়া নিয়মবিধি মেনে কাজ হয় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের সরকারি হোমগুলি ঘুরে ঘুরে দেখছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
বেঁধে দেওয়া নিয়মবিধি মেনে কাজ হয় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের সরকারি হোমগুলি ঘুরে ঘুরে দেখছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। হাওড়ার লিলুয়ার সরকারি হোম পরিদর্শনে গিয়ে তারা উষ্মা প্রকাশ করলেন। কমিশনের অভিযোগ, ওই সরকারি হোমে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরই ছবি নেই! এ ব্যাপারে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে শিশুদের দেখভাল করা নিয়ে হোম কর্তৃপক্ষের কিছু কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন।
সোমবার দুপুরে লিলুয়ার সরকারি হোম পরিদর্শনে যান কমিশনের সদস্যেরা। হোম ঘুরে দেখার পর তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কমিশনের সদস্যা দিব্যা গুপ্ত বলেন, ‘‘সরকারি ভবনে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকা আবশ্যক। এই হোমে সেটা ছিল না। আমরা হোম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’ দিব্যার মত, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দূরত্ব থাকলেও তার প্রভাব শিশুদের উপর যেন না পড়ে। সে দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। তবে ওই হোমের কিছু কাজে খুশি কমিশনের প্রতিনিধিরা। দিব্যা বলেন, ‘‘আমরা ঘুরে দেখলাম। মোটামুটি ভালই কাজ হচ্ছে এখানে। কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় রয়েছে। তা প্রকাশ্যে বলা যাবে না।’’
দিব্যা জানান, লিলুয়ার হোমে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার যতটা উদ্যোগী হবে, ততটা বাংলাদেশ সরকারকেও হতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হবে। এই শিশুরা অনুপ্রবেশকারী হওয়া সত্ত্বেও আমরা তাদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছি। নিরাপত্তা দিচ্ছি। বাংলাদেশ সরকারের উচিত, ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে তাদের দেশের বাচ্চাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। কারণ, হোমের আবাসিকরা জানিয়েছেন, তারা দেশে ফিরতে চান।’’