BJP Workers Arrested

অরুন্ডা পঞ্চায়েতে অশান্তিতে গ্রেফতার ১৯ বিজেপি কর্মী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপ-সমিতি গঠনে অশান্তির আঁচ করে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। ২৩টি আসনের ওই পঞ্চায়েতে ১৪টিতে তৃণমূল জেতে। ৯টি বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:১৩
Share:

আদালতের পথে ধৃতরা। —নিজস্ব চিত্র।

গত মঙ্গলবার খানাকুল ১ ব্লকের অরুন্ডা পঞ্চায়েতের উপ-সমিতি গঠনে পুলিশের উপর হামলা, পঞ্চায়েতে নথিপত্র পোড়ানো এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে ওই রাতেই ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উপ-সমিতি গঠনও ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছিল। ধৃতদের বুধবার আরামবাগ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তিন জনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

এসডিপিও(আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং পুলিশকে নিগ্রহের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি জারি আছে।” উপ-সমিতি গঠন প্রসঙ্গে বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী জানান, গোটা বিষয় জেলা প্রশাসনে জানানো হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে। উপ-সমিতি গঠন পরিচালনায় গিয়ে গত মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদেরও মারধর করা হয়েছে। একটি গাড়িও পোড়ানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।

দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “কেউ প্রকৃত দোষী হলে ধরা হোক। হামলার সঙ্গে যুক্ত জমায়েতের মধ্যে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই বেশি ছিল। কিছু সাধারণ মানুষও ছিলেন। পুলিশ যাঁদের ধরেছে, তাঁদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে হেনস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
পক্ষান্তরে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, “খোঁজ নিয়েছি, বিজেপি একক ভাবেই সেখানে অশান্তি করেছে। আমাদের লোক বা সাধারণ মানুষ কেউ
ছিলেন না।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপ-সমিতি গঠনে অশান্তির আঁচ করে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। ২৩টি আসনের ওই পঞ্চায়েতে ১৪টিতে তৃণমূল জেতে। ৯টি বিজেপি। কিন্তু জয়ের পরে তৃণমূলের তিন বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে, পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। তৃণমূলত্যাগী দেবাশিস সিংহ প্রধান এবং বিজেপির একজন উপপ্রধান নির্বাচিত হন। কিন্তু তারপরেই দেবাশিস-সহ দু’জন তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে দু’দলের চাপান-উতোর শুরু হয়।

অভিযোগ, উপ-সমিতি গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’তিন দিক থেকে বিজেপির কয়েকশো কর্মী-সমর্থক বোমাবাজি এবং ইট ছুড়ে হামলা শুরু করে। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে পঞ্চায়েতে ঢুকে নথিপত্র পোড়ানো, সরকারি আধিকারিক ও তৃণমূলের লোকজনদের মারধর করে প্রধান পদের প্রার্থী দেবাশিস সিংহকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তাণ্ডব সামালতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাত আটটা নাগাদ অবশ্য দেবাশিসকে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি জায়গা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। দেবাশিসের আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে একজন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে বলে জানান এসডিপিও (আরামবাগ)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement