বাঁ দিক থেকে সেই ঋণ প্রদানকারী সংস্থা এবং ধৃত সংস্থার ম্যানেজার। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপাড়ায় নামী ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় চুরির অভিযোগের ১২ দিন পর গ্রেফতার হলেন ওই শাখার ম্যানেজার। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন তিনি।
হুগলির উত্তরপাড়ার জেকে স্ট্রিটের স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় একটি শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নগদ অর্থ এবং সোনার গয়না তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ওই শাখার ম্যানেজার সঞ্জীব দত্তের বিরুদ্ধে হুগলির উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, অডিটে হিসাবের গরমিল ধরা পড়ার পরই ওই ম্যানেজারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দরজায় তালা ঝুলছে। এক পর প্রায় এক কোটি টাকার সোনার হিসেব মিলছিল না বলে অভিযোগ করা হয় থানায়। শুরু হয় হাওড়ার মালি পাঁচঘরার বাসিন্দা সঞ্জীবের খোঁজ। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে একটি ফোন কলই ধরিয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, পালানোর পর থেকেই সঞ্জীবের মোবাইল বন্ধ ছিল। তবে সেই মোবাইলের একটি কলের সূত্র ধরেই অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে দিঘার একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। তৎপরতার সঙ্গে একটি দল গঠন করে দিঘার দিকে রওনা দেয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
কিন্তু মোবাইলের সূত্র ধরে যাওয়া হলেও নির্দিষ্ট সেই হোটেলে খোঁজ পাওয়া যায়নি অভিযুক্তের। পুলিশের দাবি, দিঘার বেস কয়েকটি হোটেলে তল্লাশি চালানোর পর মঙ্গলবার সকালে একটি হোটেলে পাওয়া যায় সঞ্জীবকে। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় উত্তরপাড়া থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে। বুধবার তাঁকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনার পর একটি বিবৃতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। তাতে তারা জানিয়েছে, গ্রাহকদের আস্থা বজায় রাখতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই শাখার পুরো ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আমরাও একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। আমরা পুলিশকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছি। আমাদের সমস্ত গ্রাহক, স্টেকহোল্ডার এবং সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে বলতে চাই, সর্বদা নিয়ম মেনে কাজ করছি আমরা। আগামিদিনেও সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার কাজ করব এবং পরিষেবার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখব।’’