মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পুর ভোটের ঠিক আগেই, আগামী ১৮ নভেম্বর হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত নির্দেশ আসার পরেই সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসনের অন্দরে। গত তিন বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ায় হাওড়া পুরসভার কার্যকলাপই যে পুর ভোটের আগের এই প্রশাসনিক বৈঠকের অন্যতম আলোচনার বিষয় হতে চলেছে, তা মানছে রাজনৈতিক মহলও।
হাওড়ায় শেষ প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালের অগস্টে। এর পরে নানা সময়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রশাসনিক বৈঠক হলেও কোভিডের কারণে গত দু’বছর সামনাসামনি বৈঠক হয়নি। এ দিন পুর নগরোন্নয়ন দফতর থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে নির্দেশ আসার পরেই পুর কমিশনার ধবল জৈনকে নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য। ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শরৎ সদনকে প্রস্তুত করতে বলা হয় পুরসভাকে। সেই মতো পুরসভা শরৎ সদনের দায়িত্ব জেলা পূর্ত দফতরকে দিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে প্রতি বারের মতো জেলার প্রশাসনিক মহলের সমস্ত কর্তা-সহ জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, হাওড়া সিটি পুলিশ ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের পদস্থ কর্তা, তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কদের থাকতে বলা হয়েছে। গত ২০১৯ সালের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যে সব নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা কতটা কার্যকর হয়েছে তার খতিয়ানও তৈরি রাখা হচ্ছে। বিশেষত হাওড়া মঙ্গলাহাট স্থানান্তর, হাওড়া সংশোধনাগার স্থানান্তর, হাওড়া জেলা হাসপাতাল স্থানান্তর, আড়ুপাড়ায় হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে কাজ কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এর পাশাপাশি, কোভিড ও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিতে পারেন বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।
হাওড়ার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পুর নির্বাচনের আগে পরিষেবার হাল হকিকত নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিতে পারেন। বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কতটা সন্তুষ্ট, তা-ও ওই বৈঠকেই বোঝা যাবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।