bansberia

হনুমানজয়ন্তীর মিছিলেও তরোয়াল, তাণ্ডব ডিজে-র

দুপুর তিনটে নাগাদ কলবাজার হনুমান মন্দির থেকে গেরুয়া আবির উড়িয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। সেটি যায় ঝুলুনিয়া মোড় পর্যন্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৮
Share:
হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা। বাঁশবেড়িয়ায়। ছবি: সুশান্ত সরকার

হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রা। বাঁশবেড়িয়ায়। ছবি: সুশান্ত সরকার

রামনবমীর শোভাযাত্রায় চুঁচুড়া এবং চন্দননগর বাদে হুগলির অন্যত্র অস্ত্র প্রদর্শন এ বার ততটা দেখা যায়নি। শনিবার বাঁশবেড়িয়ায় হনুমানজয়ন্তীর শোভাযাত্রাতেও দেখা গেল অস্ত্র। সঙ্গে ছিল ডিজে বক্সের কানফাটানো শব্দও। এ দিন দুপুরে বাঁশবেড়িয়ার ইসলামপাড়া কলবাজার এলাকার এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারাও।

দুপুর তিনটে নাগাদ কলবাজার হনুমান মন্দির থেকে গেরুয়া আবির উড়িয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। সেটি যায় ঝুলুনিয়া মোড় পর্যন্ত। এলাকার কুড়িটির বেশি কমিটি মিলে এ দিনের শোভাযাত্রা বের করেছিল। সেখানেই তরোয়াল, গদা, স্টিলের রড নিয়ে চলল আস্ফালন। ছিল প্রয়াত শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবির কাটআউট।

শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগী ও উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায়-সহ কাউন্সিলররা। তপন অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘কারও হাতে অস্ত্র ছিল না। ওগুলো সব টিনের তলোয়ার।’’

তবে এলাকাবাসী ডিজে-র তাণ্ডব নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ ওই শোভাযাত্রার সময় হাজির থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

এ দিন সকালেই হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন-সহ জেলার আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তা ছাড়াও, বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে কয়েক হাজার পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন ছিল। সাদা পোশাকে পুলিশে এলাকায় টহল দিয়েছে। তারপরেও ডিজের তাণ্ডব চলল কী করে?

পুলিশের কর্তারা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তাঁরা জানান, এ দিনের শোভাযাত্রা ছিল শান্তিপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন