আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর রাস্তার কাজ শুরু। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যামন্ত্রীর শিলান্যাসের সপ্তাহ তিনের মধ্যেই আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়ে গেল। বন্যাকবলিত খানাকুলের দু’টি ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ২৫ কিলোমিটার রাস্তাটির ১৯ কিলোমিটারের পিচের অংশ তুলে তা সম্প্রসারণ করে পেভার ব্লক বিছিয়ে মজবুত করা হচ্ছে বলে মহকুমা পূর্ত দফতর সূত্রের খবর।
রাস্তার বাকি বিক্ষিপ্ত ৬ কিলোমিটারে আগেই পেভার ব্লক বসানো ছিল। তা আপাতত অবিকল থাকছে জানিয়ে মহকুমা পূর্ত দফতরের (রোড) সহকারী বাস্তুকার মঞ্জুর হাসান বলেন, “রাস্তাটি সাড়ে ৫ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৭ মিটার চওড়া করা হচ্ছে। বরাদ্দ হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা। দরপত্র ডাকা এবং ঠিকা সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া আগেই হয়ে গিয়েছে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যায় প্রতি বছর ওই রাস্তা পিচের অংশ খারাপ হয়ে যায়। তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই থাকে। এ বার পুরো রাস্তায় পেভার ব্লক করে দেওয়ায় জলের জন্য যে রাস্তা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেটা হবে না। রাস্তা সম্প্রসারণে ১৮৫টি গাছ কাটবে পূর্ত দফতর (রোড)। বন দফতরের অনুমতিও মিলেছে।
১২ ফেব্রয়ারি মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগের কালীপুর মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে জেলায় বেশ কিছু রাস্তা, জলপ্রকল্প, বহুমুখী হিমঘর ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার উদ্বোধন ও শিল্যান্যাস করেন। শিলান্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল, বন্যাকবলিত আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর রাস্তা সম্প্রসারণ। রাস্তাটি খানাকুল দু’টি ব্লকের পশ্চিম অংশের ৭-৮টি পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে মহকুমা শহরের যোগাযোগের জন্য একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরে রূপনারায়ণ নদ পেরিয়ে খুব কম সময়ে আরামবাগমহকুমা থেকে ঘাটালে যাতায়াত করা যায়। রাস্তাটিতে দূরপাল্লা, স্থানীয় এবং মিনি বাস মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গাড়ি চলে। এ ছাড়া, লরি সহ ভারী যান চলাচল করে।
রাস্তাটির আমূল সংস্কারে খুশি এলাকার মানুষ। আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকা উন্নয়নে রাস্তাটির আমূল সংস্কার প্রয়োজন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা দ্রুত রূপায়ণও হচ্ছে।’’