ঘন জঙ্গলের ভিতর একটি মন্দির। সেই মন্দিরে রাখা বিরাটাকার দেবীমূর্তি।
ঘন জঙ্গলের ভিতর একটি মন্দির। সেই মন্দিরে রাখা বিরাটাকার দেবীমূর্তি। দেবী বিরাজ করছেন জ্যান্ত সিংহের উপর। থেকে থেকে গর্জন করছে দেবীর সেই বাহন। আর প্রতিমার পিছনে চরকির মতো ঘুরছে চালচিত্র। জঙ্গলে গাছগাছালি পশুপাখিদের মধ্যে এমন দেবী বন্দনা আগে দেখেনি চন্দননগরবাসী।
সাধারণত সাবেকি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার পুজো হয়ে থাকে চন্দননগরে। আকারে পার্থক্য থাকলেও সব প্রতিমাই দেখতে একই রকম হয়ে থাকে। কিন্তু এ বার শীতলাতলার বাউরিপাড়ার প্রতিমা বেরিয়ে এসেছে ওই সাবেকি ঘরানা থেকে। মণ্ডপসজ্জায় তো বটেই, প্রতিমার গড়নেও দেখা গেল নতুনত্ব।
পুরনো রীতি পাল্টে ফেলার চেষ্টা হয়েছে বলে জানালেন পুজো কমিটির সদস্য সন্তোষ বেরা। তারঁ কথায়, ‘‘গত বছর পুজো হবে না ঠিক হয়েছিল। পরে আর মন মানেনি। তাই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিমা গড়ে পুজো করা হয়। ভাল ভাবে পুজো করা যায়নি। এ বার তাই একটু অন্য রকম চমক দিতে এই থিম করা হয়েছে যা আগে চন্দননগরে দেখা যায়নি।’’
পুজো কমিটির আর এক সদস্য সন্দীপ দাস বলেন, ‘‘একটা জঙ্গলের মধ্যে মন্দিরে জগদ্ধাত্রী রয়েছেন। পশু-পাখি গাছগাছালিতে ভরা সেই জঙ্গল। জ্যান্ত সিংহের মতোই গর্জন করছে দেবীর বাহন। মাথা নাড়ছে।’’
সন্তোষ বলেন, সন্ধ্যা থেকেই দর্শক আসতে শুরু করেছে। দশমী পর্যন্ত ভাল দর্শক আশা করছি। দর্শনার্থী কার্তিক দে-র কথায়, ‘‘দারুণ চমক দিয়েছে বাউরিপাড়া। এ রকম থিম বাচ্চাদের খুব ভাল লাগবে।’’