বৈদ্যবাটী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাগোবিন্দ কলোনির একটি ভরাট হওয়া জলাশয়ের অংশ খননের কাজ শুরু করল বুধবার পুরসভা।
শাসক দলের মদতে বৈদ্যবাটীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খড়পাড়ার পিরতলা এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাগোবিন্দ কলোনি এলাকায় দু’টি জলাশয় ভরাটের অভিযোগ ছিল। দু’টি ক্ষেত্রেই ভরাটের পর ছোট ছোট প্লট করে জমি বিক্রির প্রস্তুতিও চলছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। জানতে পেরে বুধবার সকাল থেকে ওই দুই জলাশয়ের ভরাট হয়ে যাওয়া অংশ খননের কাজ শুরু করে পুরসভা।
পুর-কর্তৃপক্ষ ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, "অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাটের কথা জানতে পেরে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খোঁজ নিয়ে অভিযোগ জানাতে বলেছি। যন্ত্র না ঢোকায় লোক লাগিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করি। স্থানীয় পুরসদস্যরা অভিযোগ জানানোর পর ভরাটকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের একটিও জলাশয় ভরাট হতে দেব না।’’
তৃণমূলের শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘আমরা কোনও রকম অবৈধ কাজকে বরদাস্ত করি না। যে-ই এই কাজে যুক্ত থাকুক, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার এই বার্তা দিয়েছেন।’’
স্থানীয়েরা জানান, জিটি রোড সংলগ্ন একটি ফাঁক জায়গায় মাটি রেখে, সেই মাটি রাতের অন্ধকারে ফেলা হচ্ছিল পুকুর ভরাটের কাজে। স্থানীয় নেতা ও জমি-মাফিয়াদের ভয়ে প্রশাসনের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে সাহস করেননি। তবে, ঘটনায় তাদের কেউ যুক্ত নয় বলে দাবি তৃণমূলের একাংশের।