ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট দফতর বণ্টন নয়। ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট মেরামতি এবং নিকাশি সমস্যার সমাধান— এই দু’টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হল। রবিবার পুরসভায় হওয়া প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকে এই দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন সদ্য নিযুক্ত চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠকে দফতর বণ্টনের দাবি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। দশ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলীর বেশির ভাগ সদস্যই কাজে গতি আনতে কলকাতা পুরসভার মতো দফতর ভাগ করে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তার পরেই ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও এ দিন প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠক ডেকে চেয়ারপার্সন সদস্যদের দু’টি দলে ভাগ করে কাজের দায়িত্বও বণ্টন করে দেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে শহরের রাস্তা মেরামতি এবং নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করে জমা জল সরানোর কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই দফতরের কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসকমণ্ডলীর দুই ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী এবং দেবাংশু দাসকে। সৈকত পেয়েছেন নিকাশির সংস্কার সংক্রান্ত কাজ দেখার দায়িত্ব, দেবাংশুকে দেওয়া হয়েছে রাস্তা মেরামতি সংক্রান্ত কাজ দেখার দায়িত্ব। আর এই দুই ভাইস চেয়ারপার্সনের সঙ্গে রয়েছেন ছ’জন সদস্য। তাঁদের আবার দু’টি দলে ভাগ করা হয়েছে। রাস্তা মেরামতির দায়িত্বে রাখা হয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপ চক্রবর্তী ও দিলীপ ঘোষকে। অন্য দিকে, নিকাশি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাপি মান্না, মনজিৎ র্যাফেল ও রিয়াজ় আহমেদকে।
বৈঠকের পরে চেয়ারপার্সন সুজয়বাবু বলেন, ‘‘পুজোর আগে এই দুই দফতরের কাজ শেষ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। দু’টি দলই নিজেদের কাজের জন্য এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তার পরেই দরপত্র ডেকে দ্রুত কাজ শুরু হবে। বাকি দফতরগুলির কাজ আমি নিজে দেখব।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসকমণ্ডলীর কাজের সুবিধার জন্য দুই ভাইস চেয়ারপার্সনকে পুরসভায় দু’টি ঘর দেওয়া হয়েছে। বাকি সদস্যদের বসার জন্য একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।