এদিন সেদিন: বিজেপির পতাকা হাতে সঞ্জয় (বাঁ দিকে হলুদ জামা), ফলপ্রকাশের দিন তৃণমূলের পতাকা হাতে সঞ্জয় (ডান দিকে হলুদ জামা)।নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
দিনে দিনে ভোলবদল!
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পর মঙ্গলবারই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সাঁতরা। জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের উন্নয়নের শরিক হতেই এই যোগদান। আর বৃহস্পতিবার সেই বিজেপিতেই ফিরলেন সঞ্জয়। এ বার তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে তাঁকে ভয় দেখিয়ে ওই দলে যোগ করানো হয়েছিল।
এ দিন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ আরামবাগের দলীয় কার্যালয়ে সঞ্জয়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাস করে তৃণমূলে ওকে যোগদানে বাধ্য করা হয়েছিল। স্থানীয়রা মোকাবিলা করায় সঞ্জয় ফের দলে ফিরত পারল।’’ সঞ্জয়েরও সাফাই, “নানা চাপে তৃণমূলে যেতে হয়েছিল। এখন আমাকে যাঁরা ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাঁদের এবং দলের সহযোগিতা পেয়ে ফের নিজের দলে ফিরেছি।’’
অন্য দিকে, সঞ্জয়ের হাতে যিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দলে যোগদান করিয়েছিলেন, তৃণমূলের গোঘাট-১ ব্লকের সেই সভাপতি বিজয় রায়ের দাবি, ‘‘চাপ বা সন্ত্রাসের অভিযোগ মিথ্যা। সঞ্জয় নিজেই তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করায় দলে নেওয়া হয়েছিল। তিনি চলে গেলেও আমাদের দলের বা পঞ্চায়েত গঠনে কিছু এসে যায় না।”
তবে ১৮ আসনের ১৫টিতে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও সঞ্জয়কে তৃণমূলে যোগদান করানো নিয়ে দলের একাংশের অসন্তোষ ছিল। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি নারায়ণ পাঁজার বক্তব্য ছিল, এই পদক্ষেপের কোন প্রয়োজনই ছিল না। উল্টে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সঞ্জয়ের কাছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী তথা ব্লকের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ পোড়েলও।