ডোমজুড়ের সোনার দোকানে ডাকাতি। —ফাইল চিত্র।
হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড়। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দু’টি বাইক উদ্ধার করল পুলিশ। হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকার জনাই থেকে বাইক দু’টি উদ্ধার উদ্ধার হয়েছে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেন অভিযুক্তেরা এখনও অধরা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ডোমজুড়ে ডাকাতি করা গ্যাংটিকে চিহ্নিত করা হিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এটি আন্তঃরাজ্য অপরাধীদের একটি গ্যাং। বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে অপরাধীদের সন্ধানে।’’
ইতিমধ্যেই সিআইডি, ডোমজুড় থানা এবং হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের দু’টি দল সোনার দোকানটিতে গিয়েছিল। আশপাশের লোকজনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এলাকায় ঘুরে অপারেশনের আগে-পরে ডাকাতদলের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার সোনার দোকানটিতে দু’টি মোটরবাইকে চার দুষ্কৃতী এসেছিল। প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দোকানের মালিক বাধা দিতেই বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ডাকাতির সময় এক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি কারও গায়ে লাগেনি। সেই গুলির খোলও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের নজর এড়াতে লুটপাট সেরে স্থানীয় বারুইপাড়ার ভিতরের রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ দেখে এবং নানা জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিহারের দুষ্কৃতীরাই ওই ডাকাতিতে যুক্ত! ওই গ্যাংটিই এর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গয়নার দোকানে এই ধরনের লুটপাট চালিয়েছে। তার মধ্যে কলকাতাও আছে। ডোমজুড়ের ঘটনার পরে উলুবেড়িয়ার পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। এই ধরনের অপরাধ আটকাতে বুধবার শহরের বড় সোনার দোকান, পেট্রল পাম্প-মালিকদের নিয়ে বৈঠক হল উলুবেড়িয়া থানায়। বৈঠকে ছিলেন উলুবেড়িয়ার এসডিপিও নিরুপম ঘোষ এবং আইসি সঞ্জয়কুমার দে। কয়েকটি দোকানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সরেজমিনে দেখেন পুলিশকর্তারা। ওই সব দোকান ও পাম্পের বাইরে পুলিশের কয়েকটি ফোন নম্বর লিখে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনও ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ দ্রুত পুলিশে খবর দিতে পারেন। সিসি ক্যামেরা এবং অ্যাল্যার্ম সিস্টেম সচল আছে কি না, সেই ব্যাপারে দোকান মালিকদের নিয়মিত লক্ষ রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।