Money embezzlement

বাড়ি তৈরির টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলর

বাড়ি তৈরির জন্য ৬০ হাজার টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। সেই টাকাই ইউনুস এবং এক তৃণমূল কর্মী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৬
Share:

প্রাক্তন কাউল্সিলরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

সরকারি বাড়ি তৈরির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ডানকুনির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ইউনুস আলি লস্করের বিরুদ্ধে। ডানকুনি পুরসভায় এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মনীষা খাতুন নামে এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি তৈরির জন্য ৬০ হাজার টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। সেই টাকাই ইউনুস এবং এক তৃণমূল কর্মী আত্মসাৎ করেছেন। ইউনুস অভিযোগ মানেননি। তবে, তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী কামরুদ্দিন লস্কর টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Advertisement

মনীষার অভিযোগ, ‘‘২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। ইউনুস এবং কামরুদ্দিন আমাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে ওই টাকা তুলিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেবে বলে নিজেরা নিয়ে নেয়। তিন বছর কেটে গেলেও একটি ইটও গাঁথা হয়নি।’’ মনীষার ছেলে হাবিব লস্কর বলেন, ‘‘কাউন্সিলরের হাত ধরে বাড়ি তৈরির জন্য প্রোমোটারও এসেছিলেন। কিন্তু, কাজ হয়নি। ওঁরা টাকাও ফেরৎ দিচ্ছেন না। ‘আজ দেব, কাল দেব’, বলে ঘোরাচ্ছেন।’’ মনীষার দাবি, ‘‘হয় সরকারি প্রকল্পে আমার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হোক, না হলে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হোক।’’

ইউনুসের দাবি, ‘‘আমি কোনও টাকা নিইনি। আমাকে বদনাম করার জন্য মিথ্যা রটানো হচ্ছে।’’ কামরুদ্দিন অবশ্য বলছেন, ‘‘টাকা নেওয়ার কথা সত্যি। দু’বছর লকডাউন হয়েই এই সমস্যা। যিনি বাড়ি তৈরি করবেন, তাঁর পরিবারের এক সদস্য অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ৬০ হাজার টাকা মিটিয়ে দেবেন বলেছেন।’’ এই ভাবে উপভোক্তার টাকা নেওয়া যায়? কামরুদ্দিনের জবাব, ‘‘টাকা নিয়ে নেওয়া হয়নি। ঘর করার জন্য নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, ‘‘আমরা বারবার বলে এসেছি, তৃণমূল নেতারা সরকারি বাড়ি তৈরির টাকা থেকে কাটমানি খেয়েছেন। এখানে তো পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে। এখন জানাজানি হতে, ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এত দিনে বাড়ি তৈরি হল না কেন, তার তদন্ত কে করবে?’’ ডানকুনির সিপিএম নেতা মানিক সরকারের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ করার পরে টাকা ফেরতের কথা বলা হচ্ছে। ডানকুনির সর্বত্রই সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে উপভোক্তার থেকে টাকা নেওয়া হয়।’’

পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। সরকারি নিয়ম মেনে সবাই যাতে নিজের বাড়ি নিজেরাই তৈরি করান, সে ব্যাপারে প্রচার করা হয়েছে।’’ তবে, অভিযোগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এই প্রশ্নে তিনি নিরুত্তর থেকেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement