Kidnapping

Arrest: উদ্ধার লিলুয়ার অপহৃত ব্যবসায়ী, পুলিশের জালে অভিযুক্ত বাবা-ছেলে

গাড়ি কোলাঘাট ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার পথ ধরার পর দেবনাথ বুঝতে পারেন যে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২১ ০৩:০৬
Share:

ধৃত বাবা ও ছেলে। —নিজস্ব চিত্র।

বাবা-ছেলে মিলে অপহরণ করেছিল লিলুয়ার এক লোহার ব্যবসায়ীকে। তাঁর মুক্তির জন্য ১০ লক্ষ টাকাও দাবি করেছিল। অপরহণের কথা জানাজানি হলে ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা।

Advertisement

ডোমজুড় থানার পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার লিলুয়া এলাকার আনন্দপল্লির বাসিন্দা দেবনাথ দাস নামে ওই ব্যবসায়ীকে শনিবার ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে উদ্ধার করা হয়। ৪২ বছরের ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণে অভিযুক্ত সফিকুর রহমান ও তার ছেলে অবয়েষ খানকে শনিবার গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে এসে আদালতে তোলা হয়।

ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, গত বুধবার দুপুরে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তার জন্য ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে সলপে একটি রেস্তেরাঁর সামনে দেবনাথকে ডেকে পাঠান তাঁর পূর্ব পরিচিত সফিউর এবং অবয়েশ। অভিযোগ, দেবনাথ সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে নেয় দু’জন। গাড়ি কোলাঘাট ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার পথ ধরার পর দেবনাথ বুঝতে পারেন যে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। গাড়িতে আরও কয়েক জন যুবক থাকায় বাধা দিতে সাহস পাননি তিনি।

Advertisement

বুধবার রাতে দেবনাথের মুক্তিপণ চেয়ে তাঁর পরিবারকে বার বার ফোন করে অপহরণকারীরা। দেবনাথের স্ত্রী মঙ্গলা দাস বলেন, ‘‘বুধবার আমাকে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা চায় এক জন। না হলে ওকে (দেবনাথকে) প্রাণে মেরে দেবে বলে হুমকি দেয়। বাড়িতে বৃদ্ধ শাশুড়ি ও ১৩ বছরের ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। অসহায় অবস্থায় পরদিন (বৃহস্পতিবার) ডোমজুড় থানায় ছুটে যাই। সেখানে অভিযোগ দায়ের করি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে ডোমজুড় থানার পুলিশ। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে শুক্রবার গভীর রাতে তমলুকের একটি বাড়িতে হানা দেয় হাওড়া সিটি পুলিশের ডোমজুড় থানা এবং বাঁকরা তদন্ত কেন্দ্রের বিশাল বাহিনী। তমলুকে অপহরণকারীদের চানসেরপুর গ্রামের বাড়িতে একটি অন্ধকার ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল দেবনাথকে। দেবনাথকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। তমলুকেই ধরা পড়ে অবয়েশ। সফিকুরকে কলকাতার তপসিয়া থেকে ধরা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক কারণে দেবনাথের কাছ থেকে কিছু টাকা পেত অভিযুক্তরা। সে জন্য বাবা-ছেলে মিলে দেবনাথকে অপহরণের ছক কষেছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement