চলছে মশার লার্ভার খোঁজ। নিজস্ব চিত্র
চুঁচুড়ায় এই মুহূর্তে পাঁচ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে দু'জন বাইরে থেকে এসেছেন। সকলের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে আক্রান্তদের এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থার (সুডা) পতঙ্গবিদ স্নেহা মুখোপাধ্যায়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত সহ আশপাশের বাড়িতে ঢুকে জল জমছে কিনা খতিয়ে দেখেন। স্নেহা জানান, আক্রান্তের বাড়িতে না পেলেও পাশেই একটি বাড়ির পরিত্যক্ত বোতলের জমা জলে মশার লার্ভা মিলেছে। ওই পরিবারকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ দিন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন সুডার ওই প্রতিনিধি।
পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত না হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাইছি না। তাই সচেতনতায় জোর দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই পুরসভার ছাড়া দু’টি ট্যাবলো শহরের অলিগলিতে প্রচার চালাচ্ছে।’’
এ দিনই, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অঙ্গ হিসাবে বাড়ি বাড়ি সাফাই কাজে নিযুক্ত ‘নির্মল সাথী’, ‘নির্মল বন্ধু’ ও গাড়ি চালকদের বর্ষাতি দেওয়া হয়। প্রায় ছ’শো কর্মী বর্ষাতি পেয়েছেন বলে জানান পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী।