ED raids Shantanu Banrejee’s house

চাবি নেই, বার বার লাথি মেরে ইডি আধিকারিকেরা ভাঙলেন শান্তনুর রিসর্টের দরজা! দেখল বলাগড়

সকাল থেকেই আলাদা আলাদা দল করে হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। তার মধ্যে রয়েছে, ব্যান্ডেলের বালির মোড় এবং ব্যান্ডেল চার্চের কাছের দু’টি বাড়িও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৫:২০
Share:

তল্লাশি চালাতে রিসর্টের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলছেন ইডি আধিকারিকরা। ফাইল চিত্র ।

একের পর এক লাথি মেরে তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিসর্টের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে ইডির দল। ইতিমধ্যেই সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। বলাগড়ের চাঁদড়ার বটতলা এলাকায় এই রিসর্ট। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ওই রিসর্টের চাবি পাননি ইডি আধিকারিকেরা। তাই ভিতরে ঢুকতে একেবারে জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়ালের ‘সিআইডি’-র চরিত্র ‘দয়া’র পন্থা অবলম্বন করেন তাঁরা। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা গিয়েছে, রিসর্টে ঢুকতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকেরা একের পর এক দুমদাম লাথি মেরে ওই রিসর্টের দরজা ভেঙে ফেলেন। এর পর তাঁরা ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। ইডি আধিকারিকদের সেই ‘লাথি মারা অভিযান’ দেখতে রিসর্টের সামনে স্থানীয়দের ভিড় জমেও গিয়েছিল শনিবার সকালে।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকেই আলাদা আলাদা দল করে হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকরা। তার মধ্যে রয়েছে, ব্যান্ডেলের বালির মোড় এবং ব্যান্ডেল চার্চের কাছের দু’টি বাড়িও। সেই বাড়িগুলিরও তালা ভেঙেই ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা।

এর পর ইডির নজরে আসে চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ার একটি আবাসনে শান্তনুর ফ্ল্যাটও। সেই ফ্ল্যাটেও ঢুকতে মরিয়া ইডির একটি দল সটান পৌঁছে যায় ওই আবাসনের প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে। সেই ফ্ল্যাটেও ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতারির পর থেকেই শান্তনুর নামে থাকা বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে। নামে-বেনামে একাধিক বাড়ি, ধাবা, রেস্তোরাঁ, হোম স্টে, বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বলেও সূত্রের খবর। যদিও তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, স্বামীর যে এত বিপুল সম্পত্তি রয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর ধারণাই ছিল না।

শুক্রবার শান্তনুর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর সেগুলি ‘ফ্রিজ়’ করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকারও বেশি গচ্ছিত রয়েছে। সেই টাকা কোথা থেকে এল, কোথায় গেল, কবে গেল, তা-ও তদন্ত করে দেখতে শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement