—নিজস্ব চিত্র।
করোনাকালে প্রায় ঘরবন্দি যাপনের মাঝে বাড়িতে টবের গাছ রাখার প্রবণতা বাড়ছে। ক্রেতাদের অনেকে আবার ঝুঁকছেন ‘এয়ার পিউরিফায়ার প্ল্যান্ট’-এর দিকে। মূলত বাড়ির বাতাস দুষণমুক্ত রাখার জন্য অনেকেই এ ধরনের চারাগাছ কিনছেন। এমনটাই মত নার্সারি মালিকদের একাংশের।
বৈদ্যবাটির নার্সারি এক মালিক জানিয়েছেন, করোনাকালে জামিয়া বা জেজে, জেডপ্ল্যান্ট, স্যান্সবেরিয়ার চারার কিনতে আগ্রহী বেশির ভাগ ক্রেতারা। তাঁদের মতে, ঘরসাজানো ছাড়াও এগুলি পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
‘এয়ার পিউরিফায়ার প্ল্যান্ট’ কেনার ঝোঁক বাড়ছে ক্রেতাদের। —নিজস্ব চিত্র।
ঘরের বাতাস দুষণমুক্ত রাখতে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ বা বাতাস পরিশোধক যন্ত্রও পাওয়া যায়। তবে সেগুলির তুলনায় সুলভ উপায় হল এই চারাগাছগুলি টবে রাখা। আজকালকার ছোট ছোট ফ্ল্যাটে বড়সড় যন্ত্রের থেকে এগুলো রাখাও সহজ। সেই সঙ্গে বাড়ির বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে এগুলির জুড়ি মেলা ভার। বৈদ্যবাটির নার্সি রোডের এক নার্সারির মালিক সিদ্ধার্থ জানা বলেন, ‘‘জামিয়া বা জেজে, জেডপ্ল্যান্ট, স্যান্সবেরিয়া মতো কিছু কিছু গাছ বাতাস পরিশোধকের কাজ করে। ইদানীং এগুলির চাহিদা বেড়েছে। অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে করোনা। হয়তো সে কারণেই আগের থেকে অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে এই গাছগুলি।’’
বৈদ্যবাটির নার্সারিতে গাছ কিনতে এসেছিলেন মুকুল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বরাবরই বাড়িতে বাগান করার শখ। নার্সারিতে এসে বাতাস পরিশোধক গাছের কথা শুনলাম। তারই কয়েকটা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’’