। সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর ঘটনায় ছেদ নেই। এ দিন হুগলিতে ৩ জন করোনায় মারা গিয়েছেন।
করোনার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমল হুগলিতে। শনিবারের সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় ১০৭২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৩৯৪ জন। সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর ঘটনায় ছেদ নেই। এ দিন হুগলিতে ৩ জন করোনায় মারা গিয়েছেন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াইশোর কম নয়। আরামবাগের এক অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, পরীক্ষা বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। অধিকাংশই বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকে সেরে উঠছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শনিবার হুগলিতে মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ৮২৭৫ জন। গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন ৮২০৭ জন। ৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ২০ জন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। এ দিন চার হাজারের বেশি লোকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, ‘‘আমরা পরীক্ষার উপর জোর দিচ্ছি। পজ়িটিভ হলেই নিভৃতবাসের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা জরুরি।’’
ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে চুঁচুড়া বিধানসভার কোদালিয়া-১ ও ২ এবং দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত ও হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার একাংশে আগামী এক মাস সপ্তাহে দু’দিন বাজার বন্ধ রাখা হবে। শনিবার কোদালিয়া-১ পঞ্চায়েতের সভাগৃহে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক, হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, সংশ্লিষ্ট তিন পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীরা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি মঙ্গলবার পূর্ণদিবস এবং শনিবার অর্ধদিবস তিন পঞ্চায়েত এলাকার সব বাজার বন্ধ থাকবে। পুর এলাকার হুগলি মোড় থেকে তালডাঙা পর্যন্ত জিটি রোডের দু’পাশের বাজারও এই নিয়মে চলবে। বিধায়ক বলেন, ‘‘বাজারে জমায়েত হয়। লাগাতার প্রচারেও এক শ্রেণির মানুষ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসিন। সংক্রমণে রাশ টানতে হলে জমায়েত চলবে না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’’