—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের একটি প্রস্তুতিসভা হল শ্যামপুর ২ ব্লকের খাড়ুবেড়িয়া পঞ্চায়েতের সভাঘরে। বৃহস্পতিবার সরকারি ভবনে রাজনৈতিক দলের ওই সভা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বও বিষয়টি সমর্থন করছেন না।
সভায় ছিলেন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন এক কর্মাধ্যক্ষ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল সামন্তের দাবি, ‘‘সরকারি ভবন হলেও ওটা কমিউনিটি হল। সাধারণ মানুষ হলটি ভাড়া নিয়ে নানা অনুষ্ঠান করেন। আমরা যদি ভাড়া নিয়ে দলীয় অনুষ্ঠান করি, বাধা কোথায়?’’
পঞ্চায়েতের এক বিরোধী সদস্যা বলেন, ‘‘প্রধানের কথা সত্যি নয়। পঞ্চায়েত ভবনে কোনও কমিউনিটি হল নেই। একটিমাত্র সভাঘর আছে। যেখানে সদস্যেরা পঞ্চায়েতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।’’ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মোনালিসা বাগের কথায়, ‘‘এখানে শাসকদল কিছুই মানে না। নিজেদের যা ইচ্ছে, তাই করছে। সরকারি ভবনে দলীয় সভা নিন্দাজনক।’’
হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার প্রতিক্রিয়া, ‘‘দলীয় সভার জন্য দলীয় কার্যালয় আছে। কেন ওই পঞ্চায়েত ভবনের সরকারি ঘরে দলীয় সভা হল, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’