শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন। —ফাইল চিত্র।
শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন তৈরির মূল লক্ষ্য ছিল, বিরল প্রজাতির বিভিন্ন গাছের সংরক্ষণ
এবং তা নিয়ে গবেষণা। কিন্তু বর্তমানে বটানিক্যাল গার্ডেনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কর্তৃপক্ষ সবুজ ধ্বংস করে সেটিকে একটি আধুনিক পার্কে পরিণত করেছেন, এমনই
অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে চিঠি দিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও প্রার্থনা করেছেন তিনি। যদিও উদ্যান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেখানে সব কাজই হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্যের অনুমোদন নিয়ে।
সম্প্রতি ওই উদ্যানে ভ্রমণার্থীদের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কংক্রিটের পার্কিং লট, কাফেটেরিয়া, পিচের রাস্তা, লম্বা বাতিস্তম্ভ। সুভাষের অভিযোগ, এর ফলে উদ্যানের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্যায় পড়েছে সেখানকার শেয়াল, বনবেড়াল-সহ বিভিন্ন জন্তু। তাঁর অভিযোগ, সেখানে যে অনেক গাছ কাটা হয়েছে, তা স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে। আরও অভিযোগ, মেহগনির মতো দামি গাছ অবৈধ ভাবে কেটে তা দিয়েই কাফেটেরিয়ার টেবিল-চেয়ার তৈরি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে, রাস্তায় আগুন জ্বেলে পিচ গলানো যাবে না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদ্যানের ভিতরে আগুন জ্বালিয়ে পিচ গলিয়ে রাস্তার কাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
উদ্যানের যুগ্ম-অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘সংস্কারের যে কাজ হচ্ছে, তা কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রক, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে। সমস্ত তথ্যও আমাদের কাছে আছে।’’