মৃতদেহ জয়পুর-বাগনান রোডে রেখে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ উঠল। আমতার জয়পুরের বাসিন্দা আসফার আলি খান (৩৮) মঙ্গলবার দুপুরে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন। সে দিন সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে তিনি মারা যান। বুধবার বিকেলে আসফারের বন্ধু মিন্টে মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী। জয়পুর-বাগনান রোডের ফকিরপাড়ায় আসফারের দেহ রেখে তাঁরা অবরোধ করেন। মিন্টেকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বাইক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। আসফার এবং মিন্টেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পুলিশ বুধবার সকালেই দুর্ঘটনা বিষয়ক মামলা শুরু করে। বিকেলে পরিবারের লোকজন অন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দু’টি অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে আসফার বন্ধু মিন্টের মোটরবাইকে আমতায় যান। ফেরার সময় আমতার ছোট ময়রায় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। দু’জনেই গুরুতর জখম হন। তাঁদের প্রথমে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আসফারের পরিবারে অভিযোগ, তাঁকে মদ খাইয়ে মারধর করা হয়েছে। তাতেই আসফারের মৃত্যু হয়। আসফারের দাদা আনোয়ার জয়পুর থানায় অভিযোগে জানান, আসফার এক লক্ষ টাকা পেত মিন্টের কাছ থেকে। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় দু’দিন আগে মিন্টের সঙ্গে আসফারের গোলমাল হয়। মঙ্গলবার আসফারকে ভুল বুঝিয়ে মিন্টে আমতায় নিয়ে গিয়ে মদ খাইয়ে মারধর করে। তাতেই মৃত্যু হয়। মিন্টে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।